জানা গিয়েছে, ভোররাতে প্রায় তিনটে নাগাদ কলকাতামুখী ৪০৭ গাড়িতে ফুল তুলছিল বেশকয়েকজন। সেই সময় পিছন দিক থেকে এসে একটি সিমেন্ট বোঝাই লরি ধাক্কা মারে তাঁদের। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৬ জনের। আহত হন আরও বেশ কয়কেজন। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।
ফুল লোডিংয়ের সময় দুর্ঘটনা
মলয় বাগ নামে এক ব্যক্তি জানাচ্ছেন, বুড়ামালা বাস স্ট্যান্ডে গাড়িতে ফুল লোড হচ্ছিল। কারও কোলাঘাট যাওয়ার কথা ছিল, তো কেউ যেতেন দেউলিয়া। সেই সময় একটা সিমেন্টের গাড়ি এসে ধাক্কা মারে। এরপর পাশের নয়ানজুলিতে পড়ে যায় গাড়িটি। দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে প্রায় ২০ থেকে ২২ জন ফুলচাষি ছিলেন বলে জানান মলয়। এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া যাচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
একজনকে কলকাতায় স্থানান্তর
আহতদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে একজনকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। উত্তম কুমার বাগ নামে এক ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তপন সামন্ত নামে আরও এক জন। উত্তম কুমার বাগ জানান, গাড়িতে ফুল তোলার সময় হঠাৎই একটি সিমেন্ট গাড়ি এসে ধাক্কা মারে। তারপর পাশে নয়নজুলিতে পড়ে যায়।
এদিকে খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ। গাড়িটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকের বাড়িই খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত বলে জানা যাচ্ছে। তবে মৃতদের পরিচয় এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। মৃতদের পরিচয় জানা চেষ্টা করা হচ্ছে।
কয়েক মাস আগেও ভয়াবহ দুর্ঘটনা
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় এক পথচারীর। গুরুতরভাবে জখম হন আরও তিনজন। জানা যায়, দাসপুরের বেলতলা বাজারে মাছ কেনাবেচার সময় আচমকাই ঢুকে পড়ে এক চালবোঝাই লরি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা মারার পাশাপাশি চারজনকে পিষে দেয় ঘাতক লরিটি। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়। ওই ৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।