কী জানা যাচ্ছে?
ইডির হাতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে বাকিবুর রহমান। নদিয়ার হরিণঘাটার সাত শিমুলিয়া বাকিবুর রহমানের চাল কলের পিছন থেকে মিলল বেশ কিছু পোড়া নথি। রবিবার বিকেলে এগুলি লক্ষ্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। নথির পোড়া অংশের মধ্যে সরকারি সিলমোহর রয়েছে বলে খবর। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে এলাকায় গুঞ্জন।
নদিয়ায় রেশন দুর্নীতির কেন্দ্র
২০২১ -২২ সালে নদিয়া জেলায় রেশনের পণ্য খোলা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করা অভিযোগ উঠেছিল। সেইসময় তিনটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায়। এই অভিযোগ গুলির ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ নদিয়ার কয়েকটি রাইসমিলে সে সময়ে তল্লাশি চালানো হয়। পরে রেশন দুর্নীতির তদন্ত হাতে নেওয়ার পর ইডি নদিয়া জেলার একাধিক জেলায় তল্লাশি করে।
বাকিবুরের বিপুল সম্পত্তির হদিশ
মন্ত্রী ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে খবর, বাকিবুর ও তাঁর আত্মীয়ের নামে একাধিক জায়গায় সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। সব মিলিয়ে এখনও প্রায় ১০০ কোটি টাকা সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে দাবি। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৩২ কাঠা জমির পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগ জমিই উত্তর ২৪ পরগনা ও বহরমপুরে। এছাড়াও কলকাতায় পার্ক স্ট্রিট, রাজারহাট, বারাসাত ও রঘুনাথপুরে ৯টি ফ্ল্যাট রয়েছে বাকিবুর রহমানের।
বাকিবুর রহমানকে আগামী ১১ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত দিয়েছে আদালত। জেরা করার জন্য আদালতে আবেদন জানায় ইডি। তদন্ত সবে শুরু হয়েছে, জেরা করলে আরও একাধিক তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছে ইডি আধিকারিকরা। সেই কারণে আদালতের কাছে জেলে গিয়ে জেরা করার জন্য আবেদন করা হয়। সেই আবেদন ইতিমধ্যে মঞ্জুর করেছে আদালত। অন্যদিকে, একই কেসে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরবর্তীকালে দু’জনকে সামনাসামনি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলেও সম্ভাবনা আছে।