প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে সিউড়ি থানার অন্তর্গত কলেজ পাড়া মোড়ের কাছে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা। সাত সকালে দেহটি পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকাজুড়ে। দ্রুত সিউড়ি থানায় খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
দেহের পাশে একটি রক্তমাখা পাথর পাওয়া যায়। যুবককে ওই পাথর দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে দু’জনের বচসা করতে দেখা যায় ওই যুবককে। সেইসময় ওই যুবকে মারধরও করে দু’জন। দ্রুত ঘটনা তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে নিহত যুবকের নাম কুতুবউদ্দিন। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখে করে সিউড়ি থানার পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছে এক যুবককে। সে মোবারকের সঙ্গী বলে জানা যায়। ধৃত ওই যুবকের নাম শেখ ইমরান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় , বর্ধমানের এক যৌনকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মোবারক শার। আবার ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নিহত যুবক শেখ কুতুবউদ্দিনেরও। আর তার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। মোবারকের সঙ্গী শেখ ইমরানের পরিবারের দাবি, সে এই খুনের বিষয়ে কিছুই জানে না। ধৃত যুবককে সিউড়ি জেলা আদালতে বেশ করা হয়। শেখ ইমরানের দাবি, সে নিজে কুতুবউদ্দিনকে দু-চারবার চর থাপ্পর অবশ্যই মেরেছিল, কিন্তু এভাবে মোবারক যে এভাবে কুতুবউদ্দিনকে খুন করে দেবে তা সে ভাবেনি। এমনকী সে চলে যাওয়ার পর ওই জায়গায় কী ঘটেছে তা তার জানা নেই বলেও দাবি ইমরানের।
এবার মোবারককে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে মোবারক ও ইমরানকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।