CBI Officer : ‘অভাব’-এর মুখে CBI, বিশ বাঁও জলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত? – cbi officer shortage creating problems for the investigation of teacher recruitment scam


দুর্গাপুজোর আগে একাধিক দুর্নীতি ইস্যুর তদন্ত নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছে ED-CBI-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তবে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে বেগ পেত হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে। কারণ অফিসারের অভাব। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের অফিসারের অভাবের কথা জানিয়েছিল ED। এবার একই সমস্যার মুখোমুখি সিবিআইও। বর্তমান পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে।

এই মুহূর্তে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পাঁচটি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। মামলার তদন্তে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটে রয়েছেন পাঁচজন সিবিআই অফিসার। নিযুক্ত অফিসাররা প্রত্যেকেই নিজেদের তদন্ত নিয়ে ব্যস্ত। তাঁদের সাহায্যের জন্য সিবিআইয়ের কাছে নেই অতিরিক্ত কোনও অফিসার। সেই কারণে তদন্তের গতি ক্রমশ ধীর হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্তের শ্লথ গতি নিয়ে প্রতিনিয়ত উচ্চ ও নিম্ন আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। সিবিআইয়ের সিট নিয়েও নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

অফিসারের অভাবই সমস্যার কারণ?

সূত্রের খবর, বর্তমানে নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চে মোট ২২ জন অফিসার রয়েছেন। সিটের সদস্য ছাড়া অন্য কোনও অফিসার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অংশ নিতে পারবেন না। সেই কারণে একজন অফিসারকে তদন্তের পাহাড়-প্রমাণ চাপ সামলাতে হচ্ছে। একইসঙ্গে আদালতে হাজিরা দেওয়ার দায়িত্বও রয়েছে। তদন্তে কোনও নতুন ব্যক্তির নাম উঠে এলে, তাঁর সম্পর্কেও তথ্য জোগাড় করতে হচ্ছে এই অফিসারদেরই। এত চাপে একা সামাল দিতে নাভিশ্বাস উঠছে অফিসারদের। মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র পরীক্ষার কাজও সামলাতে হচ্ছে এই অফিসারদের। অন্য অফিসারদের সাহায্য তাঁরা পাচ্ছেন না। ফলে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব পড়ছে।

TMC On Mahua Moitra : মহুয়ায় নীরব আর বালুতে সরব কেন তৃণমূল?
নিজাম প্যালেসের ফরেন্সিক ল্যাবের অবস্থাও তথৈবচ। বর্তমানের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ফরেন্সিক ল্যাবে মোটে ১ জন কর্মী রয়েছেন। তাঁর একার পক্ষে বিভিন্ন ডিজিটাল তথ্য বিশ্লেষণ করাও সমস্যার। গোটা বিষয়টি করতে অনেকটাই সময় লাগছে। ফলে সঠিক সময়ে তদন্ত শেষ করা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অফিসারের সংখ্যা না বাড়লে কী করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব, সেই প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে নিজাম প্যালেসের সিবিআই কর্তাদের।

উল্লেখ্য, পুজোর আগে থেকে বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় সিবিআই ইডি। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শাসকদলের একাধিক নেতামন্ত্রীর বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই-ইডি। অনেককেই জিজ্ঞাসবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হচ্ছে সংস্থার অফিসে। শুক্রবার রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই মামলায় আরও কোনও প্রভাবশালীর নাম উঠে আসে কি না, সেটাই এখন দেখার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *