মণ্ডপে বচসা ও মারধরের অভিযোগ
প্রাক্তন ওই পঞ্চায়েত সদস্যের ভগ্নিপতি তরুণ অধিকারীর অভিযোগ নবমীর দিন স্থানীয় পুজো মণ্ডপে গিয়েছিলেন অভিজিৎ। সেখানে ধূমপান করছিলেন তিনি। সেই সময় তাপস অধিকারী-সহ আরও তিনজনের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। তার জেরে অভিজিৎকে ওই চারজন ক্লাব সদস্য মারধর করে বলে অভিযোগ। তরুণ অধিকারীর দাবি, যে ৪ জন মারধর করেছে তারাও তৃণমূল করে।
রেখে গিয়েছেন সুইসাইড নোট
সেই ঘটনার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অভিজিৎ অধিকারী। তার জেরেই আজ সকালে তিনি আত্মঘাতী হন বলে দাবি পরিবারের। একটি সুইসাইড নোটও লিখে গিয়েছেন তিনি। অভিজিতের বন্ধুদের দাবি অভিযুক্তদের প্ররোচনাতেই আত্মঘাতী হয়েছেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মগড়া থানার পুলিশ মমলা রুজু করেছ। শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত।
আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ
অভিজিৎ ভৌমিক নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘তাপস অধিকারীর নেতৃত্বে এগুলো করানো হয়েছে। ওদের আচরণে ও আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। তাপস অধিকারী তৃণমূল করেন। থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। থানা থানার মতো কাজ করবে।’
যা বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব
হুগলি জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক রাজা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘অনভিপ্রেত ঘটনা। যে মারা গিয়েছেন তিনিও তৃণমূল করতেন, পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই তাপস অধিকারী পনেরো নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বে আছেন। ওঁর বিরুদ্ধে এই রকম কোনও অভিযোগ আগে কেউ করেনি। তবে ঘটনা যাই হোক পুলিশ তদন্ত করুক। কেউ দোষী হলে দল তাঁকে রেয়াত করবে না।’
ঘটনায় রীতিমতে শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। শোকস্তব্ধ মৃতের বাড়ির সদস্যরাও। রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে এই ঘটনা ফের একবার তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই প্রকাশ্যে নিয়ে এলে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনীতিতে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। প্রয়োজনে অভিযুক্ত ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।