আসছে জগদ্ধাত্রী পুজো
মাঝে আর কয়েকটা দিন! হৈমন্তীকার আরাধনায় মেতে উঠবে গোটা চন্দননগর সহ জেলার মানুষ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। আলোকসজ্জা, আকাশছোঁয়া প্রতিমা দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসেন চন্দননগরে। চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজো এবং আলোকসজ্জার খ্যাতি ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্বজুড়ে। প্রতিবছরই আলোক শিল্পীরা তাঁদের শিল্পকলার মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলেন বিভিন্ন কারুকার্য।
চারদিনের আনন্দ উৎসব
অন্যান্য জায়গায় জগদ্ধাত্রী পুজো দু’দিনের হলেও দুর্গাপুজোর ন্যায় চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো চার দিন ধরে পালিত হয়। সপ্তমী থেকে শুরু হয় পুজো। দশমীর দিন শোভাযাত্রা সহকারে হয় প্রতিমা নিরঞ্জন। জগদ্ধাত্রী পুজো এতটাই প্রসার বিস্তার করেছে যে পঞ্চমী থেকেই মানুষ বেরিয়ে পড়েন প্রতিমা দর্শন করতে। সেইমতো পুজো উদ্যোক্তরাও মণ্ডপ ও আলোকসজ্জায় মাতিয়ে দেন দর্শকদের।
কেন একাদশীতে শোভাযাত্রা?
রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দুর্গা পুজোর কার্নিভ্যালের আদলে চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শোভাযাত্রায় বহুকাল ধরে চলে আসছে এই রীতি। তবে এবছর তার অন্যথা হবে। কারণ বদলে গিয়েছে তিথি। জগদ্ধাত্রী পুজোর ষষ্ঠী ও সপ্তমী পড়েছে একই দিনে। চতুর্থ দিন হয়ে যাচ্ছে একাদশী। সেই কারণে যদি দশমীর দিন প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয় তাহলে তিনদিনেই শেষ হয়ে যাবে জগদ্ধাত্রী পুজো। তাই এ বছর আরও একদিন বাড়িয়ে একাদশীর দিন বিসর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুজো উদ্যোক্তারা।
পুজো উদ্যোক্তারা কী বলছেন?
পুজো উদ্যোক্ত অমিত ঘোষ বলেন, ‘তিথি অনুযায়ী শোভাযাত্রা করলে মানুষ একদিন কম ঠাকুর দেখতে পারবেন। তাই কোনও ভাবেই চায় না কেউ, মানুষের এক বছরের অপেক্ষার আনন্দে কোনও ছেদ পড়ুক। তাই এ বছরেও আনন্দের সঙ্গে চার দিন ধরেই ঠাকুর দেখবে দর্শনার্থীরা।
চন্দননগরের মেয়র কী বললেন?
চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, ‘সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী সেটাই বহাল থাকবে। তবে এ বছর ষষ্ঠী সপ্তমী একই দিনে পড়েছে। তাই পঞ্জিকা মতে দশমীর দিন একাদশী হয়ে যাচ্ছে। তাই তারপরের দিন শোভাযাত্রা সহ কারে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে।’ চন্দননগরের মানুষ সহ রাজ্যের মানুষ অপেক্ষা করে থাকে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো দেখার জন্য। প্রচুরসংখ্যক মানুষ আসেন পুজো দেখতে। দর্শকদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ঘাট গুলিতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করতে পর্যাপ্ত লোকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে মোট ১৭০টি পুজো হচ্ছে। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবে প্রায় ৭০ টি পুজো কমিটি।