কী জানা যাচ্ছে?
রবিবার সকালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিক সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির অফিসে তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। হাতে বেশ কিছু নথি নিয়ে আসেন সিজিও কমপ্লেক্সে। হাতে তাঁর একটি নিল রংয়ের প্লাস্টিক ফাইল ছিল। রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে জ্যোতিপ্রিয় এবং তাঁর পরিবারের সদস্যের নামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে ইডি। ইতিমধ্যে একাধিক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সে সম্বন্ধে কিছু নথি চেয়ে জ্যোতি কন্যাকে ডাকা হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে খবর।
প্রশ্নের উত্তরে নারাজ
নির্দিষ্ট সময়ে ইডি দফতরে পৌঁছন প্রিয়দর্শিনী। তবে খুব কম সময়ই ছিলেন তিনি। ১৫ মিনিটের মত সময় প্রিয়দর্শিনী ছিলেন ইডি দফতরে। তারপর আবার বেড়িয়ে যান। সিজিও কম্পেক্সে প্রবেশের সময় এমন বেড়িয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি কোনও উত্তর দিতে রাজি হননি। কিছুটা বিরক্ত প্রকাশ করে মেজাজ হারান প্রিয়দর্শিনী। অবশেষে গাড়িতে উঠে দরজা বন্ধ করে চলে যান।
তদন্তের আওতায় জ্যোতিপ্রিয় পরিবার
রেশন দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে একাধিক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তাঁর পরিবারের সদস্য, এমনকি পরিচারকদের নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকার হদিশ পেয়েছে ইডি। এছাড়াও একাধিক ভুয়ো সংস্থা নিজের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য এবং বাকিবুরের মতো ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে চালাতেন বলে দাবি ইডির। বিভিন্ন তথ্য ঘেঁটে স্ত্রী এবং মেয়ের উপার্জনের ওপরও নজর দেয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
আয়ের বহির্ভূত হিসেব
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট এবং নথি যাচাই করে আয়ের বহির্ভূত হিসেব পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। আয়কর রিটার্নের কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, টিউশন পড়িয়ে জ্যোতিপ্রিয় কন্যা প্রায় ৩.৩৭ কোটি টাকা উপার্জন করেছেন বলে দেখানো হয়েছে। প্রিয়দর্শিনী কলেজের সহকারী অধ্যাপক। অধ্যাপনার জন্য বার্ষিক আয়ের অনেক বেশি অঙ্কের টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও আশুতোষ কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।