রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বর্তমান বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইউরিয়া ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা অন্যান্যদের থেকে কিছুটা বেশি রয়েছে জ্যোতিপ্রিয়ির। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, গত অগাস্ট মাসে চেন্নাই থেকে কিডনির চিকিৎসা করিয়ে ফিরেছিলেন তিনি। অর্থাৎ কিডিনর কমবেশি সমস্যা তাঁর আগে থেকেই ছিল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বর্তমানে তাঁর উইরিয়া ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের চেয়ে কিছুটা বেশি। যদিও চিকিৎসরা মনে করেছেন যেহেতু জ্যোতিপ্রিয়র কিডনির সমস্যা আগে থেকেই ছিল, তাই এটা তাঁর ক্ষেত্রে বেস লাইন। তাই এই রিপোর্টে খুব বেশি উদ্বিগ্ন নন চিকিৎসকেরা।
অন্যদিকে হৃদযন্ত্রের বেশকিছু পরীক্ষাও ইতিমধ্যেই হয়েছে। সমস্ত পরীক্ষার রিপোর্টই সন্তোষজনক। এখন হৃদযন্ত্রের রিদম পরীক্ষা করে দেখছেন চিকিৎসকেরা। শনিবার তাঁকে অর্ধতরল খাবার খেতে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বর্তমানে তাঁর শরীরের যা পরিস্থিতি, তাতে সোমবার পর্যন্ত ভর্তি রাখা হতে পারে তাঁকে।
আদালতে যা জানিয়েছে ইডি…
রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ব্যাঙ্কশাল আদালতে নথি পেশ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দাবি করে, শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড ও গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড নামে ৩ সংস্থা খোলা হয়েছিল টাকা সরাতে, এবং তা হয়েছিল জ্যোতিপ্রিয় ও বাকিবুরের যোগসাজশেই। ইডির আরও দাবি, কোম্পানি খুলে জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী মণিদীপা এবং প্রিয়দর্শীনিকে প্রথমে ডিরেক্টর করা হয়। সেই সংস্থায় ১২ কোটি ৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল বলেও দেখানো হয়।
অন্যদিকে হৃদযন্ত্রের বেশকিছু পরীক্ষাও ইতিমধ্যেই হয়েছে। সমস্ত পরীক্ষার রিপোর্টই সন্তোষজনক। এখন হৃদযন্ত্রের রিদম পরীক্ষা করে দেখছেন চিকিৎসকেরা। শনিবার তাঁকে অর্ধতরল খাবার খেতে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বর্তমানে তাঁর শরীরের যা পরিস্থিতি, তাতে সোমবার পর্যন্ত ভর্তি রাখা হতে পারে তাঁকে।
আদালতে যা জানিয়েছে ইডি…
রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ব্যাঙ্কশাল আদালতে নথি পেশ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দাবি করে, শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড ও গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড নামে ৩ সংস্থা খোলা হয়েছিল টাকা সরাতে, এবং তা হয়েছিল জ্যোতিপ্রিয় ও বাকিবুরের যোগসাজশেই। ইডির আরও দাবি, কোম্পানি খুলে জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী মণিদীপা এবং প্রিয়দর্শীনিকে প্রথমে ডিরেক্টর করা হয়। সেই সংস্থায় ১২ কোটি ৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল বলেও দেখানো হয়।
ইডির দাবি বিষয়টি সেখানেই থেমে থাকেনি। ২০২২ সালে ওই সংস্থাগুলির সম্পূর্ণ সম্পত্তি বিক্রি করে ২০ কোটি ২৪ লাখ ১৬ হাজার ১৯৪ টাকা পাওয়া যায়। সেই টাকা এম/এস এজে অ্যাগ্রোটেক এবং এম/এস রয়্যাল অ্যান্ড কোম্পানি নামে বাঁকুড়ার ২টি পার্টনারশিপ ফার্মে পাঠানো করা হয়। পরে বাকিবুরের শ্যালক অভিষেক বিশ্বাসের নামে থাকা একটি অ্যাকাউন্টে সেই টাকা জমা পড়ে।
অন্যদিকে, এই মামলার তদন্তে নেমে তাদের হাতে একটি মেরুন ডায়েরি এসেছে বলেও দাবি ইডির। সেই ডায়েরিতে ‘বালুদা’ লেখা রয়েছে বলেও দাবি তদন্তকারীদের। ডায়ের মধ্যে রয়েছে টাকা লেনদেনের হিসেব।