Khardaha Incident : ২ কাউন্সিলরের রেষারাষি, বলি তৃণমূলকর্মী যুবক! ফের উত্তপ্ত খড়দা – trinamool congress worker of khardaha lost his life for inner party clash


এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর এই ঘটনায় প্রাণ হারালেন তৃণমূলকর্মী এক যুবক। উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় পুরসভা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত তৃণমূলকর্মীর নাম আকাশ প্রসাদ। তাঁকে খুন করার অভিযো করেছে পরিবার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। খড়দা থানায় মৃতদেহ রেখে তুমুল বিক্ষোভ তৃণমূলকর্মীদের। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এই ঘটনায়। বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র‌্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঠিক কী ঘটনা

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে এই নিয়ে খড়দা পুরসভার দুই কাউন্সিলর বিকাশ সিং ও সোনু সাউয়ের বিবাদ দীর্ঘদিনের। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে সম্প্রতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত্যু হয় আকাশ প্রসাদ নামে ওই যুবকের। মৃত আকাশ বিকাশের সিংয়ের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। সোনু সাউ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতদেহ নিয়ে খড়দা থানায় বিক্ষোভ তৃণমূলকর্মীদের।

কী অভিযোগ উঠে এল?

শুধু আকাশই নয় আরও রৌনক পাল নামের এক তৃণমূলকর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। খড়দা থানায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমি চুল কাটাতে যাচ্ছিলাম, তখন আমাকে রাস্তায় ধরে মেরেছে। আয়ুষ সাউ, রোহিত সাউ ছিল, অর্জুন জসওয়ালও ছিল। পরে আমরা বাড়ি গিয়ে তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যদের গালিগালাজ করা হয়। তারপরই আকাশের উপর আক্রমণ হয়। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোনু সাউ দীর্ঘদিন ধরে আমাকে তাঁর সঙ্গে থাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল। আমাকে একাধিকবার ডেকে পাঠালেও আমি যাইনি। সেই কারণেই এই গন্ডগোল।’ তবে অভিযুক্ত কাউন্সিলরের বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।

Anubrata Mondal : বেধড়ক মার, রক্তাক্ত অবস্থায় থানার বাইরে শুয়ে অনুব্রতর ভাই! যতকাণ্ড সেই বীরভূমে
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট ডিসি সেন্ট্রাল আশিস মৌর্য বলেন, ‘কথাকাটি থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হচ্ছে। গন্ডগোলের সময় একজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। এর বেশি এখন বলা সম্ভব নয়।’

ব্যারকপুর শিল্পাঞ্চলে অপরাধের বাড়বাড়ন্ত

বেশ কয়েক বছর ধরেরই বিভিন্ন সময় উত্তপ্ত হয়েছে খড়দা, টিটাগড়, শ্যামনগর, জগদ্দল, ভাটপাড়া, টিটাগড়ের মতো ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের এলাকায়। এই এলাকার একাধিক বাহুবলী নেতার দলবদলের সাক্ষী থেকে গোটা বাংলা। কিন্তু তারপরই পরিস্থিতিতে বদল হয়নি। বন্ধ হয়নি দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য। চোখে মুখে আতঙ্ক থাকলে গন্ডগোল, খুন বা বোমাবাজির মতো ঘটনা দেখতে এখন অভ্যস্ত এই এলাকার মানুষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খড়দার এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের এখানে ছোটো ছোটো বিষয় নিয়ে গন্ডগোল রোজকার ঘটনা। এখন আমরা প্রশাসনের উপরও আশা ছেড়ে দিয়েছি। এই নিয়েই আমাদের থাকতে হবে। প্রশাসন যদি এখন সদর্থক ভূমিকা নেয় তবে ভালো।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *