কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, আরেকটি বিপর্যয়কর রেল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। অন্ধ্র প্রদেশের ভিজিয়ানগরম জেলায় দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় ৮ জন মারা গিয়েছেন এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে রেলের বগি লাইনচ্যুত। অসহায় যাত্রীরা কোচে আটকে পড়েছেন। রেলের দুর্ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’ তাঁর কথায়, এই ধরনের রেল দুর্ঘটনা বারংবার ঘটে চলেছে।
দুর্ঘটনার তদন্তের দাবি
অন্ধ্রপ্রদেশে রেল দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি। পাশাপাশি, দুর্ঘটনার পর অবিলম্বে দ্রুত উদ্ধার কাজ করার ব্যাপারে আর্জি জানান এবং রেল দুর্ঘটনার কারণ সম্বন্ধে তদন্তের দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘রেলের আর কবে ঘুম ভাঙবে?’
কী ঘটনা ঘটেছে?
রেলওয়ে সূত্রে জানা যাচ্ছে, অন্ধ্র প্রদেশের ভিজিয়ানগরাম জেলায় দুটি ট্রেনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। ০৮৫০৪ বিশাখাপত্তনম-রায়াগাদা প্যাসেঞ্জার। আর অপরটি হল ০৮৫৩২ বিশাখাপত্তনম-পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একই লাইনে দুটি ট্রেন কী ভাবে চলে এল সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে কিছু জানায়নি রেল।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, দুটি ট্রেন একই লাইনে চলে আসায় মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। তবে রেলের কর্মীদের ত্রুটিতে কারণে নাকি সিগন্যালের কোনও সমস্যা থাকায় কারণে এই ঘটনা সে সম্বন্ধে কিছু জানায়নি রেল। রেলওয়ে সূত্রে জানা যাচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই রেলের আধিকারিকরা দুর্ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছেন। উদ্ধার কার্য ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। দিনের আলো ফুটলে উদ্ধার কার্যে আরও গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে রেল দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রেল দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধারকার্য চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।