দু’বছর আগে সিউড়ির যৌনপল্লীতে ছিল মিষ্টি
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় বছর দুয়েক আগে সিউড়ির যৌনপল্লীতে পেশার তাগিদে এসেছিল ওই যৌনকর্মী। সেই সময় নিয়মিত যৌনপল্লীতে যাতায়াত ছিল মোবারকের। যাতায়াতের সুবাদে মিষ্টির সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয় ফকিরপাড়ার বাসিন্দা মোবারক শা-র । পরবর্তীকালে দু’জনের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হলে ওই যৌনকর্মীর যাতায়াত শুরু হয় মোবারকের বাড়িতেও। এমনকী দু’জনের বিয়ে করবে বলেও ঠিক করে। কিন্তু প্রায় এক বছর আগে সিউড়ির যৌনপল্লী ছেড়ে বর্ধমান যৌনপল্লীতে চলে যায় সে।
একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল কুতুবুদ্দিনের
উল্লেখ্য, মৃত যুবক কুতুবুদ্দিনের পরিবার জানায়, বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তান থাকা সত্ত্বেও সিউড়ির করিধ্যার বুলু নামক একটি মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তাঁর। তবে শুধু বুলুর সঙ্গে সম্পর্কেই সীমাবদ্ধ ছিল না মৃত যুবক। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক যৌনকর্মীর বলেন, ‘দিনের পর দিন রাজ্যের বিভিন্ন যৌনপল্লীতে তার যাতায়াত ছিল। আর সেই সুবাদেই মৃত কুতুবউদ্দিনের সঙ্গে বর্ধমানের যৌনপল্লীতে পরিচয় হয় ওই যৌনকর্মীর। আর তারপর থেকে প্রায়শই তার কাছে যেত কুতুবউদ্দিন। সেই থেকেই এই মোবারকের সঙ্গে কুতুবুদ্দিনের ঝামেলার সূত্রপাত।’
সম্প্রতি আসানসোলের একটি মেয়ের সঙ্গে মোবারকের বিয়ে ঠিক হয়। আগামী ৫ নভেম্বর তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। যার জন্য আত্মীয়দের নিমন্ত্রণপত্র পাঠানোও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিয়ে ঠিক হলেও ওই যোনকর্মীকে ভুলতে পারেনি মোবারক। তার জেরেই কুতুবুদ্দিনের সঙ্গে মোবারকের বচসা চরমে ওঠে। আর তারই চরম পরিণতি হিসেবে কুতুবুদ্দিনকে মেবারক খুন করে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, এখন ওি যৌনকর্মীর খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
