ওই সময়ে আভাসের স্ত্রী ব্যক্তিগত কাজে বাইরে গিয়েছিলেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন। তিনি বাড়ি ফিরে তালা ভেঙে প্রতিবেশীদের নিয়ে ভিতরে ঢুকে দেখেন, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছেন আভাস। তাঁদের এক প্রতিবেশীই কলকাতা পুলিশের ১০০ ডায়ালে ফোন করে বিষয়টি জানান। এর পর হরিদেবপুর থানার পুলিশ তাঁর দেহটি উদ্ধার করে এমআর বাঙুর হাসপাতালে পাঠায়।
মৃতের স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ির দরজা ভিতর থেকে তালা বন্ধ ছিল। তিনি আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হলেও এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে কি না, তা তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন। ঘটনাস্থল থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। রবিবার রাত পর্যন্ত কেউ অভিযোগও করেননি।
পুলিশ সূত্রে খবর, আভাসের বাবা আগেই মারা গিয়েছেন, তাঁর মা থাকেন ভাইয়ের কাছে। আভাসের বছর কুড়ির এক ছেলে ও বারো বছরের এক মেয়েও রয়েছেন। ঘটনার সময়ে তাঁরাও বাড়িতে ছিলেন না। হরিদেবপুরের বাড়িটি আভাসের নিজেরই। ওই বাড়ির একতলার ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
যখন ঘটনাটি ঘটে, তখন আভাসের স্ত্রী জেমস লং নবপল্লিতে ছিলেন। পরিজন ও পড়শিদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জেনেছে, কিছুদিন আগেই শ্বশুরবাড়ি থেকে সপরিবারে ফিরেছিলেন আভাস। তারপরে হঠাৎ কী এমন হলো, যার জেরে তিনি আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন, সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।