মুখ খুললেন প্রিয়দর্শিনী
রেশন বণ্টন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। গ্রেফতারির পর থেকে আগাগোড়াই বাবার পাশে দেখা গিয়েছে কন্যা প্রিয়দর্শিনীকে। রবিবারও নথি হাতে ইডি দফতরে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সোমবার নিজের দফতরে ওই বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিনিধির মুখোমুখি হন রাজ্য উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব প্রিয়দর্শিনী।
প্রিয়দর্শিনী বলেন, ‘গোটা বিষয়টাই তদন্ত সাপেক্ষ। সেই কারণে এখনই এই নিয়ে কিছু বলছি না। ইডি আগে গ্রেফতার করে, তারপর তদন্ত করে। সেই কারণে এখনই কিছু বলার সময় আসেনি। বাবার মেডিক্যাল নথি জমা দেওয়ার জন্যই আমি রবিবার সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেই নথি কাল জমা করা যায়নি। আজ সেই নথি জমা হয়েছে। তবে বাবা এখন আগের থেকে অনেকটাই ভালো রয়েছেন।’
ED ডাকলে সহযোগিতার বার্তা
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে জ্যোতিপ্রিয় ঘরণী মণিদীপা ও কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিকের। ED আদালতে দাবি করেছে, দুর্নীতির টাকা বালুর স্ত্রী-কন্যার অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে। সেই নিয়ে মুখ খুলেছেন আশুতোষ কলেজের অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘আমাকে ডাকা হলে, আমার ব্যাখ্যা দেব। তদন্তে অবশ্যই সহযোগিতা করব। এখনও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোনও ডাক আসেনি। আমি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে তৈরি। আমার কাছে ব্যখ্যা রয়েছে। সেই কারণে নিজেকে অপরাধী বলে মনে হয় না।’
যড়যন্ত্র হলে সামনে আসবে : প্রিয়দর্শিনী
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ED-র হাতে গ্রেফতার হওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন জ্যোতিপ্রিয়। বিজেপি ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন তিনি। সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রিয়দর্শিনী বলেন, ‘এই গ্রেফতারির পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না সেটা আমি বলতে পারব না। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলতে পারবেন। কারণ আমি সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই। ষড়যন্ত্র হোক বা না হোক সবটাই সামনে আসবে।’
শান্তিনিকেতনের বাড়ি কার?
জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতার হতে চর্চায় চলে আশে শান্তিনিকেতনের ‘দোহারা’। এই বাড়িটি মন্ত্রী-কন্যার বলে দাবি ওঠে বিভিন্ন মহলে। সেই নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রিয়দর্শিনী। তিনি বলেন, ‘বাড়ি তো রয়েছে। সেটা আমি অস্বীকার করছি না। কিন্তু সেটা কার বাড়ি এবং তার মূল্য কত, সঠিক সময়ে তা প্রমাণ হবে। তবে আমার নামে বাড়ি নয়। ওই বাড়ি আমার পরিবারের। সবটাই সামনে এসে যাবে।’