চিকিৎসকরা অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বর্তমান শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। গত শুক্রবার আদালতে মূর্ছা যাওয়ার পর বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যম খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তিনদিনে দু’দফায় MRI ছাড়াও সিটি স্ক্যান, রক্তের নানাবিধ পরীক্ষার পাশাপাশি ইসিজি, ইকো ও হল্টার মনিটরিং করা হয় জ্যোতিপ্রিয়র। যদিও চিকিৎসার সবক’টি প্যারামিটারেই মন্ত্রী সুস্থ রয়েছেন বলে জানান চিকিৎসকেরা।
রবিবার হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রীর ইউরিয়া ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা অন্যান্যদের থেকে কিছুটা বেশি রয়েছে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, গত অগাস্ট মাসে চেন্নাই থেকেই কিডনির চিকিৎসা করিয়ে ফিরেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অর্থাৎ কিডিনির কমবেশি সমস্যা মন্ত্রীর আগে থেকেই ছিল। হাসপাতাল সূত্রে আরও খবর, বর্তমানে তাঁর উইরিয়া ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা অন্যান্য সাধারণ মানুষের চেয়ে কিছুটা বেশি। যদিও চিকিৎসরা মনে করেছেন যেহেতু তাঁর কিডনির সমস্যা আগে থেকেই ছিল, তাই তাঁর ক্ষেত্রে এটাই বেস লাইন। তাই ইউরিয়া ক্রিয়েটিনিনের রিপোর্ট নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন নন চিকিৎসকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, নতুন করে আর কোনও পরীক্ষা করার দরকার নেই মন্ত্রীর। সেই কারণে রবিবার রাতেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে সিসিইউ থেকে ৩৭৪ নম্বর কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এবার প্রশ্ন হল, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাসপাতাল থেকে ছুটি হবে কবে? জ্যোতিপ্রিয়র শারীরিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্ট রবিবারই সন্ধ্যায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে তুলে দিয়েছে ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই রিপোর্ট সোমবার আদালতে জমা দেওয়ার কথা ইডির।
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতিতে গত বৃহস্পতিবার সকালেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। দিনভর চলে তল্লাশ। তারপর গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। এই ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে। এই ঘটনায় কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।