Malda Hospital : চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ, রণক্ষেত্র মালদা জেলা হাসপাতাল – malda hospital vandalised by patient party for ill treatment allegation


রোগী মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল মালদা জেলা হাসপাতাল। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় রোগীর পরিবারের সদস্যরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালে হাজির ইংরেজ বাজার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।

কী জানা যাচ্ছে?

ভুল ইনজেকশন দেওয়ার অভিযোগে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় ধুন্ধুমার মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এক রোগী রবিবার হাসপাতালে ভর্তি হয়। রোগীর নাম সাহিল শেখ। তিনি মালদা শহরের মঙ্গল বাড়ির বাসিন্দা। বিকেলে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

পরিবার কী জানাচ্ছে?

পরিবারের সদস্যের দাবি, রবিবার দুপুরে দুই বন্ধুর সঙ্গে মোটরবাইকে করে সাহিল কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের নূনবহী এলাকায় যাচ্ছিলেন। রাস্তায় তাঁরা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন। পথ দুর্ঘটনায় আহত হন সাহিল। বন্ধুরা তাঁকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। তাঁরাই এরপর সাহিলের পরিবারের লোকেদেরও খবর দেন কিন্তু অভিযোগ, ঘণ্টা দুয়েক ধরে সাহিলের কোনও চিকিৎসা হয়নি হাসপাতালে।

চিকিৎসায় গাফিলতি?

পরিবারের লোকের অভিযোগ দীর্ঘক্ষণ সময় পার হয়ে গেল চিকিৎসা সেভাবে হয়নি। বারবার চিকিৎসার জন্য আবেদন করার পর বিকেলে একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। তারপরই সাহিল শেখের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে সাহিলের মৃত্যু ঘটে। পরিবারের লোকের অভিযোগ, ভুল ইনজেকশন দেওয়ার পরই মৃত্যু ঘটেছে। কর্তব্যরত নার্স হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় বলেও দাবি পরিবারের সদস্যদের। হাসপাতাল চত্বরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইংরেজবাজার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়।

পুলিশ কী জানাচ্ছে?

পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষুব্ধ পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনন্ত জন্য হাসপাতালে উপস্থিত হন আইসি-সহ ডেপুটি পুলিশ সুপার। পুলিশ মৃতের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷

West Bengal News Today : সরকারি ত্রিপল বিকোচ্ছে খোলা বাজারে! বিতর্কে মুখ খুললো জেলা প্রশাসন
সাহিলের পরিবারের এক সদস্যের দাবি, ‘পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিল সাহিল। এরপরেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। অথচ, বারবার বলা সত্ত্বেও সাহিলের চিকিৎসা আরম্ভ করা হয়নি। প্রায় দু ঘণ্টা ধরে তাঁকে ফেলে রাখা হয়েছিল।’ তাঁর কথায়, রাত আটটা নাগাদ সাহিলকে একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে সাহিলের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে গাফিলতির জন্য এই ঘটনা ঘটল। তবে বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তবে ভাঙচুর ও বিক্ষোভের জেরে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *