ঠিক কী ঘটনা?
হুগলির পর এবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় কুকুর আতঙ্ক। বসিরহাটের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৈত্র বাগান এলাকার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিনদিন ধরে একটি কুকুর এলাকার চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ জন মানুষকে কামড়েছে। কুকুরের ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে সাহস পাচ্ছেন না এলাকার বাসিন্দারা।
এলাকাবাসীদের মতো ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। শিশুদের বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছেন না অভিভাবকরা। জরুরি প্রয়োজনে কেউ রাস্তায় বের হলে, তাঁদের লাঠি হাতে বেরোতে দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কুকুর ধরে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার দায় কার, সেই নিয়ে পুরসভা ও বন দফতরের মধ্যে রেষারেষি চলছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর জানিয়েছেন, বন দফতর জানিয়ে দিয়েছে, এ বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই। সেই কারণে স্থানীয় কাউন্সিলর ‘ডগ রিকভারি’ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে কুকুরটিকে ধরার চেষ্টা করেছে।
কী বলছেন এলাকাবাসী থেকে শুরু করে কাউন্সিলররা
স্থানীয় বাসিন্দা সুনন্দা মজুমদার বলেন, ‘গতকাল আমাকে কুকুর কামড়ে মাংস তুলে নিয়েছে। এখনও অবধি এলাকার ৪০ থেকে ৫০ জনকে কামড়েছে। আমরা ভীষণ আতঙ্কে রয়েছি। আমরা চাই বন দফতর বা স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত কুকুরটিকে ধরার বন্দোবস্ত করবে।’
বন দফতরের রেঞ্জার তুষার সরকার বলেন, ‘কুকুর আমাদের আওতায় পড়ে না। আমরা বন্যপ্রাণীদের নিয়ে কাজ করি। কুকুর ধরার দায়িত্ব আমাদের নয়। পুরসভা এই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে পারবে। আমাদের কিছু করার নেই।’
স্থানীয় কাউন্সিলর বলেন, ‘আমি খোঁজ নিয়ে জানলাম এটা পুরসভার বিষয়। পুরসভাকে জানানোর পর আমাকে বন দফতরকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। বন দফতরকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে পুরসভার পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। অসংখ্য মানুষকে যেমন কামড়েছে, তেমন অসংখ্য কুকুরকেও কামড়েছে। আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা বসিরহাটের বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠনরের সঙ্গে কথা বলেছি। কুকুরটিকে যাতে ধরার বন্দোবস্ত করা যায়। সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’