কেমন ছুটি রয়েছে?
রাজ্য সরকারের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, রবিবার কালীপুজোর এমনিতেই ছুটি রয়েছে। পরের দিন অর্থাৎ ১৩ ও ১৪ নভেম্বর দু’দিন অতিরিক্ত ছুটি রয়েছে কালীপুজো ও দিওয়ালির জন্য। এরপর ১৫ তারিখ ভাইফোঁটার জন্য ছুটি পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। ওইদিনই বিরসা মুন্ডার জন্মদিনের ছুটি রয়েছে। একই দিনে দুটি অনুষ্ঠান পড়ে যাওয়ায় ১৬ তারিখ ফের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা।
নভেম্বরের বাড়তি ছুটি
দুর্গাপুজোর সময়েই লম্বা ছুটির কারণে অনেকেই ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন ভ্রমণ বিলাসিতা মেটাতে। সেই সুযোগ এবার থাকছে কালীপুজোতেও। ১১ নভেম্বর থেকে টানা ছুটি নিলে চলবে আগামী এক সপ্তাহ। এখানেই শেষ নয়। মাঝে ১৭ তারিখ ও ১৮ তারিখ ছুটি নিলে ২০ তারিখ পর্যন্ত অবকাশে কাটানোর সুযোগ রয়েছে। ২০ নভেম্বর ছটপুজোর কারণে অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করেছে নবান্ন
সরকারি ছুটির নিয়ম
রাজ্য সরকার মূলত তিনটি ভাগে ছুটি ঘোষণা করতে পারে। একটিতে ১৯৮৮ সালের ‘ন্যাশনাল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্ট’ অনুযায়ী গোটা দেশেই কিছু ছুটি প্রাপ্য হয় সরকারি কর্মচারীদের। সেই অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের একই দিনে ছুটি থাকে। এছাড়াও রাজ্য সরকার স্থানীয় উৎসব, পরবের জন্য ছুটি দিতে পারে রাজ্য সরকার। সেগুলো সংশ্লিষ্ট রাজ্যের কর্মচারীরা পেয়ে থাকেন। এছাড়া অতিরিক্ত কোনও কারণে ছুটি ঘোষণা হতে পারে।
চলতি বছরে অক্টোবর অর্থাৎ পুজো মরশুম শুরুর মাস থেকেই টানা ছুটিতে মেতে রয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। অক্টোবর এবং নভেম্বর মাস মিলিয়ে মোট ৩১ দিন ছুটি পেয়েছেন কর্মচারীরা। এর মধ্যে টানা ছুটির সংখ্যাই বেশি। অর্থাৎ, উৎসবের মরশুমে প্রাপ্য ছুটি এবং রাজ্য সরকারের নিজস্ব ঘোষণা করা কিছু ছুটি মিলিয়ে ৩১ দিন অফিসে যেতে হচ্ছে না সরকারের কর্মীদের। তাহলে আর কী! যাঁরা দুর্গাপুজোর অবকাশে কোথাও যেতে পারেননি, তাঁরা প্ল্যান করে নিন এখনই। না হলে, কালীপুজো ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানে পরিবারের সঙ্গে আনন্দে কাটান।