Boro Maa Naihati : বড়মার মূর্তিতে ১০০ ভরি সোনা! দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়ছে মন্দির কমিটির – naihati boro maa mandir committee members are worried for security of kali maa jewelleries


নৈহাটির বড়মা মন্দির নিয়ে ভক্তদের মধ্যে এখন তুঙ্গে উন্মাদনা। গত শনিবার নৈহাটির বড়মার মন্দিরে কষ্টিপাথরের বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে মহাধুমধামে। রবিবার নবনির্মিত মন্দির উদ্বোধন করা হয়। মন্দির উদ্বোধনের দিন ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এখন থেকে প্রত্যেক দিন পুজো হবে বড়মার মন্দিরে। তবে কালীমূর্তিতে পরানো সোনার গয়না নিয়ে চিন্তায় রয়েছে মন্দির কমিটি।

বড়মার মন্দির নিয়ে ‘দুশ্চিন্তা’ মন্দির কমিটির সদস্যদের

মন্দিরের উদ্বোধন হলেও কালীমূর্তিকে পরানো সোনার গয়না এখন কমিটির সদস্যদের দুশ্চিন্তার কারণ। বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে মন্দিরের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। একজন অফিসার ও তিনজন সশস্ত্র কনস্টেবল বড়মার মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার জন্য সেখানে বসানো হয়েছে পুলিশ ক্যাম্প। কিন্তু তাতেও দুশ্চিন্তা কমছে না কমিটির কর্মকর্তাদের। গোটা বিষয়টি মন্দির কমিটির তরফে ব্যারাকপুর থানা এবং ব্যারাকপুর কমিশনারেটের কর্তাদের জানানো হয়েছে।

সূত্রের খবর, বড়মার মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য নৈহাটি থানার তরফে পৃথক আউটপোস্ট তৈরির চিন্তা করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে সেই আবেদন পৌঁছেছে। এখন রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।

বড়মার মন্দিরের পুরনো ইতিহাস

নৈহাটি বড়মার পুজোর চল দীর্ঘদিনের। কালীপুজোর সময় এখানে বিশালাকার কালীমূর্তি পুজো করা হয়। ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই পুজোর চল রয়েছে। যতদিন গিয়েছে বড়মার ভক্তর সংখ্যা ততই বেড়েছে। ২০২২-র কালীপুজো বড়মার কাছে প্রায় ৬০ হাজার পুজো পড়েছিল, দণ্ডি কেটেছিলেন ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। শতবর্ষে ভক্তদের দেওয়া সোনার গয়নার পরিমাণ হয়েছে ১০০ ভরি। এতদিন ধরে বড়মার মন্দির সারাবছর ধরে বড়মার ছবি পুজো করা হত। নতুন মন্দির উদ্বোধনের পর থেকে এখন প্রতিষ্ঠিত মূর্তি পুজো করা হবে।

উদ্বেগ কাটছে না কর্মকর্তাদের

এতদিন ধরে পুলিশি নিরাপত্তায় কালীপুজোর সময় মাটির মূর্তিকে গয়না পরানো হত। কিন্তু কষ্টিপাথরের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার হওয়ার পর থেকে এই মূর্তিকে তা পরানো হয়েছে। পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হলেও দুশ্চিন্তা কাটছে উদ্যোক্তাদের। কারণ সম্প্রতি বারাকপুর, রানাঘাট, পুরুলিয়ার মতো এলাকায় একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সেই কারণে মন্দিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন মন্দিরের কর্মকতারা।

মন্দির কমিটির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য বলেন, ‘মন্দির চালু হয়ে গিয়েছে। এখন থেকে নিয়ম মেনে মায়ের পুজো করা হবে। ভক্তরা সকাল ৮টা থেকে বেলা ১টা ও বিকেল ৪টে থেকে রাত ৮টা অবধি পুজো দিতে পারবেন। এতদিন মায়ের গয়না থাকত লকারে। আমাদের কোনও চিন্তা ছিল না। কিন্তু এখন সবসময়ই মায়ের মূর্তিতে গয়না থাকবে। তাই আমরা চিন্তায় রয়েছি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *