মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চন্দননগর রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনেরর তরফে বৈঠকে আয়োজিত হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য, চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী, ভদ্রেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রলয় চক্রবর্তী-সহ পুলিশ, বিদ্যুৎ দফতর, রেল, স্বাস্থ্য দফতর, পুরসভার জন প্রতিনিধি এবং আধিকারিকরা।
বিদ্যুতের খরচ কমবে
বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের জেনারেল ম্যানেজার কিঙ্কর সিং বলেন, এবার জগদ্ধাত্রী পুজোয় বিদ্যুতরে খরচে কিছুটা সাশ্রয় হবে। গত বছর ২৭০ টাকা প্রতি কিলো ওয়াট, প্রতিদিনের বিদ্যুৎ খরচ ছিল। এবার সেটা ১৮৮ টাকা করা হয়েছে। এতে বারোয়ারিগুলির বিদ্যুতের জন্য খরচ অনেকটা কম হবে। চন্দননগরে প্রত্যেক বারোয়ারিতে আলোর খেলা দেখা যায়। বড় বড় গেট থেকে শুরু করে, নানা ধরণের আলোর কেরামতি, কার্যত চোখ ধাঁধিয়ে দেয় দর্শনার্থীদের। তাতে বিদ্যুৎ খরচ হয় অনেকটাই বেশি। বিদ্যুতের দাম কমায় সেই খরচ কমবে।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার সময় কমছে
অন্যদিকে চন্দননগরে দিনে বিসর্জন ও রাতে শোভাযাত্রার জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার সময়ও কমানো হচ্ছে এবার। একটা সময় ছিল দশমী ও একাদশীর দিন গোটা চন্দননগর কার্যত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকত। কিঙ্কর সিং বলেন, ‘শোভাযাত্রার রুটে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হবে না। যেসব প্রতিমা দিনে বিসর্জন হয় সেগুলিকে বের করে গাড়িতে তোলার সময়, আগে আড়াই থেকে তিন ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হত। এবার প্রতিমা বের করার সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হবে। আবার প্রতিমা বেরিয়ে গেলে লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ করা হবে। ফলে আগের থেকে অনেক কম সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকবে। চন্দননগরে আন্ডার গ্রাউন্ড কেবলের কাজ চলছে। সেক্ষেত্রে আশা করা যায় আগামী বছর এই সমস্যাও থাকবে না।’
কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির চেয়ারম্যান নিমাই দাস বলেন, ‘আগে এলাকায় দু’দিন বিদ্যুৎ থাকত না। অসুবিধা হত, আমরা মানিয়ে নিতাম। এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। এবছর ৬২টি বারোয়ারি শোভাযাত্রায় অংশ নেবে। ২৩২টি লরি থাকবে। সেই শোভাযাত্রায় যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেটা বিদ্যুৎ দফতরকে দেখতে বলেছি।’