আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের বাছাই করা ৮/১০ টি আসনে সর্বশক্তি নিয়োগ করে জয়ের টার্গেট নিয়েছে সিপিএম। কংগ্রেসের সঙ্গে যদি জোট বহাল থাকে তাহলে এই বাছাই করা আসনগুলোতে দেশের গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সাহায্য নেওয়ার পাশাপাশি অন্য শক্তির সঙ্গেও কৌশলগত সমঝোতা করবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। লোকসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের বড় শরিক হিসেবে সিপিএম একা ৩২ টি আসনে লড়াই করে।
শরিক আর এস পি লড়াই করে ৪ টি আসনে। ফরোয়ার্ড ব্লক এবং সিপিআই দুটি দল ৩ টি করে আসনে প্রার্থী দেয়। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট পর্যন্ত সিপিএম নিজের ৩২ টি আসন ছাড়াও শরিক দলগুলো যে আসনে লড়াই করে সেখানেও মোটামুটি সমান শক্তি নিয়োগ করত। কিন্তু গত পাঁচ বছরে লোকসভার পাশাপাশি বিধানসভায় বামেরা শূন্য হয়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় শক্তি বৃদ্ধি করলেও বিরোধী হিসেবে ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের সময়েও বামেদের যে শক্তি ছিল তা এখন নেই। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ৮/১০টি আসন চিহ্নিত করে রাখলেও কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা সম্পূর্ণ হলে এবং আই এস এফের সঙ্গে কথা পাকা হলে নির্দিষ্ট সমীকরণের ভিত্তিতে ওই আসন চূড়ান্ত করবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
কারণ, কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত হলে মুর্শিদাবাদ এবং উত্তরবঙ্গের এক দুটি আসন এই বাছাই করা আসন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করবে সিপিএম। এই বাছাই করা আসনগুলোতে লোকসভা কেন্দ্র এবং সেখানের সমীকরণ অনুযায়ী পৃথক পৃথক ছক তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে সিপিএমের। দলীয় সূত্রের খবর, কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে কতগুলো আসনে চূড়ান্ত সমঝোতা হবে তা এখনও স্পষ্ট না হলেও বামফ্রন্টের খুব কম হলেও ৩০ টি-র বেশি আসনে প্রার্থী থাকবে।
শরিকদের আসন বাদ দিয়েও সিপিএমের নিজস্ব প্রার্থী থাকবে ২০-র বেশি আসনে। কিন্তু এর অনেক আসনেই জয় তো দূরের কথা, ১৫-১৬ শতাংশ ভোটও সিপিএমের প্রার্থী পাবে কিনা সে বিষয়ে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট নিশ্চিত নয়। তাই এই আসনগুলোতে বাড়তি শক্তি খরচ না করে সেই শক্তি নির্দিষ্ট ৮/১০ টি আসনে ব্যবহার করতে চাইছে সিপিএম।