নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে ফেরার পথে প্রথম পায়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেলিকপ্টার বিভ্রাটে নামতে গিয়ে কোমর ও বাঁ-পায়ে গভীর আঘাত লাগে তাঁর। সেরে ওঠার বেশ কয়েক মাস পর স্পেন ও দুবাই সফরে বিনিয়োগ আনতে গিয়ে আবারও সেই পুরনো চোটের জায়গাতেই আঘাত পান তিনি। বিদেশ সফর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যাবেলা কলকাতা ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পায়ের ব্যথা বাড়ায় পরেরদিন বিকেলেই যান এসএসকেএম হাসপাতালে। ছোটখাট অপারেশনও হয় তাঁর হাঁটুতে। যদিও সেদিনই সন্ধেতেই তাঁকে ছেড়ে দেন চিকিৎসকেরা। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাড়িতে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
সেই পরামর্শেই দীর্ঘ সময় কালীঘাটের বাড়িতেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চলাফেরা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় নিজের ঘর ও বাড়ির অফিসের মধ্যেই যাতায়াত ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এতটা সময় কোনওদিন বিশ্রামে থাকেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১-এর নির্বাচনের সময়ও পায়ে গুরুতর চোট পান তিনি। চিকিৎসকদের পরামর্শ এড়িয়ে হুইলচেয়ার নিয়েই বেরিয়ে পড়েছিলেন প্রচারে। এবারেই প্রথম দীর্ঘ একমাস বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি তৃণমূল সুপ্রিমোকে। তাঁর সুবিধার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অফিস তাঁর বাড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখান থেকে সামলেছেন সমস্ত প্রশাসনিক কাজ। দলীয় কমর্সূচিতে যোগ দিতে না পারলেও রেখেছেন করা নজর। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে এই দীর্ঘ এক মাস বাড়ির বাইরে পা রাখেননি তিনি। মন্ত্রীসভার জরুরি বৈঠকও নবান্নের বাইরে কালীঘাটের বাড়িতেই ডাকেন তিনি। এমনকী বাড়ির অফিসে বসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেরেছেন পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন।
পুজো উদ্বোধনের সময়ই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন রেড রোডের কার্নিভ্যালে সশরীরে উপস্থিত থাকবেন তিনি। সেই মতো সম্পূর্ণ সুস্থ মুখ্যমন্ত্রী ২৭ অক্টোবর হাজির হন রেড রোডের মঞ্চে। পুজো শেষে অফিস খুলতেই ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পার্ট চুকিয়ে নবান্নে ফিরছেন মমতাও।