ঠিক কী অভিযোগ?
ঠান্ডার আমেজ পড়ে গিয়েছে। সামনেই শীতের মরশুম। এখন জমিতে আলু এবং সরষে লাগানোর সময়। আলু চাষে অধিক পরিমাণে রাসায়নিক সার প্রয়োজন হয়। আর সেই রাসায়নিক সার বিক্রিতেই কালোবাজারির অভিযোগ। কৃষকদের অভিযোগ, মুদ্রিত দামের থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে রাসায়নিক সার। ফলে আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়ছেন তাঁরা। দেওয়া হচ্ছে না পাকা রশিদ। এই বিষয়ে বিশ্বজিৎ পাঁজা নামে এক ক্রেতা বলছেন, ‘কৃষকদের জন্য কেউ নেই, কৃষকদের সবাই মারতে শিখে গিয়েছে।’
সমবায় সমিতির যা সাফাই…
সমবায় সমিতির কর্মীদের আবার সাফাই, আড়তদারের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে রাসায়নিক সার। তাই কৃষকদের থেকেও বেশি দাম নিতে হচ্ছে। কৃষকদের কাছে রাসায়নিক সারের বেশি দাম নেওয়ার কারণেই দিতে পারছেন না পাকা রশিদ।
অভিযোগ অস্বীকার
যদিও সমবার সমিতির এক কর্মী অবশ্য রশিদ না দেওয়ার অভিযোগ মানতে রাজি নন। তাঁর দাবি, ক্রেতারা লাইনে দাঁড়াচ্ছেন এবং একে একে রশিদ কাটা হচ্ছে। যদিও ক্রেতাদের পালটা অভিযোগ কোনওরকম রশিদ দেওয়া দেওয়া হচ্ছে না।
কড়া বার্তা কৃষি আধিকারিকের
এদিকে এই বিষয়ে ঘাটাল মহকুমার কৃষি আধিকারিক শ্যামপদ সাঁতরা অবশ্য বলেন, ‘এইরকম ঘটনা যদি ঘটে এবং আমাদের কাছে যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে, তাহলে আমরা যে ব্যবস্থা নেওয়ার নেব। কখনওই মুদ্রিত দামের বেশি নেওয়া যাবে না। যে কোনও সারের ক্ষেত্রেই যা মুদ্রিত দাম, সেই দামই নিতে হবে। এই ধরণের অভিযোগ এলে, আমার ব্যবস্থা নেব।’
কৃষি আধিকারিক স্পষ্ট করে বলেন, ‘পাকা রশিদ দিতে হবে। যেহেতু রশিদ দিচ্ছে না বলে অভিযোগ, যে ব্যবসায়ী এটা করছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমাদের কথা হচ্ছে, চাষি নির্দিষ্ট দামে সার পাবেন। আর কৃষকদের উদ্দেশে বলব, যখন আপনারা সার কিনবেন, পাকা রশিন নেবেন এবং যা দাম আছে,তার বেশি দেবেন না। নির্দিষ্ট দাম দিয়েই কিনবেন। যদি কেউ বেশি নেয়, আমাদের কাছে অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেব।’