কেন আইনি নোটিশ?
এর আগে সংবাদমাধ্যম শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেন, ‘জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সাথে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার জড়িত।’ আর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই আইনি নোটিশ পাঠানে হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। সেই আইনি নোটিশ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি লেখেন, ‘আমার এবং আমার পরিবারের সবাই খেটে খাওয়া মানুষ,আমরা কোন অনৈতিকভাবে উপার্জন করি না। অন্যায়ের সঙ্গে আপস করি না। আমাদের নামে যে ভাবে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কুরুচিকর মন্তব্য করেছে তার জন্যই শুভেন্দু অধিকারীকে মানহানির আইনি নোটিশ পাঠালাম।’
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককের বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দিনভর তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। আদালতে তাঁকে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। যদিও তারই মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে।
সেখানে বেশকিছু শারীরিক পরীক্ষা নিরিক্ষা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। একাধিকবার এমআরআই, সিটি স্ক্যান, রক্তের বিবিধ পরীক্ষা, ইসিজি, ইকো এবং হল্টার মনিটরিং করা হয় মন্ত্রীর। যদিও সমস্ত রিপোর্টেই দেখা যায়, সুস্থই রয়েছেন তিনি। তবে তাঁর ইউরিয়া-ক্রিয়েটিনিন লেভেল কিছুটা বেশি রয়েছে। যদিও এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, কিডনির সমস্যায় আগে থেকেই ভুগছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, গত অগাস্ট মাসে চেন্নাই থেকে কিডনির চিকিৎসাও করিয়ে এসেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত কিছু পরীক্ষা নিরিক্ষার পর সোমবার রাতেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
ইডি হেফাজতে জ্যোতিপ্রিয়
বর্তমানে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির হেফাজতে রয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া নথি সামনে রেখে মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডি কর্তারা। একইসঙ্গে তাঁর সম্পত্তির সঠিক হিসেবেও মেলানো হচ্ছে বলে সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে।