West Bengal Police : পুলিশ সুপারের ভুয়ো প্রোফাইল খুলে সাইবার ক্রাইমের জাল! রাজ্যে শোরগোল – coochbehar police super fake facebook account created by scammers for cyber crime


খোদ পুলিশ সুপারের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ভুয়ো ফেসবুক আকাউন্ট। সেই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে আসবাবপত্র বিক্রির টোপ দিয়ে প্রতরণার চেষ্টা চালাচ্ছে একটি চক্র। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে। জানা গিয়েছে, কোচবিহারের পুলিশ সুপারের নাম ও ছবি ব্যবহার করে একটি আকাউন্ট তৈরি করে প্রতারকরা। সেখান থেকে বিভিন্ন জনকে ফ্রেন্ড রিকয়েষ্ট পাঠানো হয়। তারপর মেসেঞ্জারে পুলিশ সুপারের নাম ব্যবহার করে আসবাবপত্র বিক্রির টোপ দিয়ে প্রতরণা চালাচ্ছে একটি চক্র।

বর্ধমানের প্রাক্তন অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার তথা বর্তমানে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের অনেক পরিচিতজনদের এইভাবে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে বলে খবর। যদিও, কেউই এই ফাঁদে পা দেননি। জানা গিয়েছে, হাওড়ার পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনারের (হেডকোয়ার্টার) থাকাকালীন একইভাবে থাকাকালীন দ্যুতিমানবাবুর নামে ভুয়ো আকাউন্ট খুলে প্রতারণা করা হয়। প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে সেই সময় এক ব্যক্তির ৯১ হাজার টাকা খোয়া গিয়েছিল।

Kolkata Police : আজব কায়দায় হ্যাক তরুণদের ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম! প্রতারণার নতুন ফাঁদ, সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ
কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের নাম ও ছবি দেওয়া একটি আকাউন্ট থেকে ফ্রেন্ড রিকয়েস্ট পান অনেকেই। এরপর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে মেসেঞ্জারে একটি মেসেজ আসে। সেখানে বলা হয়, দ্যুতিমানবাবুর খুব পরিচিত সিআইএসএফ অফিসার কপিল কুমার দমদম এয়ারপোর্টে কর্মরত। তিনি বদলি হবেন এবং তার সমস্ত আসবাব ও বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র খুব সস্তায় বিক্রি করে চলে যাবেন। উনি আপনাকে ফোন করবেন। বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করা হয় ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট।

জানা গিয়েছে, আসবাবপত্র কেনার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন অনেকেই। আসবাব বিক্রির কথা বলে একাধিক ব্যক্তিকে দ্যুতিমানবাবুর নাম নিয়ে ফোন করা হয়। আগে টাকা পাঠানোর জন্য বলা হয়, তারপর মালপত্র বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু কথা শোনার পর অনেকেই বুঝতে পারেন গোটা বিষয়টি ভুয়ো এবং বড় প্রতারণার ছক কষা হয়েছে। বিষয়টি ভুয়ো বুঝতে পেরে কেউ আর ফাঁদে পা দেয়নি।

কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমানবাবুর নজরেও আসে গোটা বিষয়টি। ঘনিষ্ঠদের মারফত তিনি এই কথা জানতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আজ সকালেই বিষয়টি নজরে এসেছে। হাওড়া সিটি পুলিশে যখন কর্মরত ছিলাম. তখনও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। আমার নাম ও ছবি দিয়ে ভুয়ো প্রোফাইল খোলা হয়। সেই প্রোফাইল থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পেয়েছিলেন সালকিয়ার শশীভূষণ সরকার লেনের এক বাসিন্দা। প্রথম নজরে তাঁর মনে হয়নি ওই অ্যাকাউন্টটি ভুয়ো। তাঁকেও আসবাবপত্র বিক্রির প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। তিনি ৯১ হাজার টাকা খুইয়েছেন। আমি অনেক আগেই আমার আসল স্যোশ্যাল মিডিয়াতে বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছিলাম। আশা করি সকলে সতর্ক থাকবেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *