বিবেক সহায় বর্তমানে ডিজিপি প্রভিশনিং ওয়েস্ট বেঙ্গল পদে রয়েছেন। তাঁকে করা হল ডিজি অ্যান্ড সিজি হোম গার্ডস,ওয়েস্ট বেঙ্গল। নটরাজন রমেশ বাবু বর্তমানে রয়েছেন ডিরেক্টর, ডিরেক্টরেট অফ ইকোনমিক অফেন্স ইন দ্য ব়্যাঙ্ক অফ এডিজি পদে। তাঁকে পাঠান হচ্ছে এডিজি প্রভিশনিং ওয়েস্ট বেঙ্গল পদে। বর্তমানে এডিজি সিআইএফ ওয়েস্ট বেঙ্গল পদে রয়েছেন জ্ঞানবন্ত সিং। তাঁকে পাঠান হচ্ছে ডিরেক্টর, ডিরেক্টরেট অফ ইকোনমিক অফেন্সে। আর অজয় নন্দ রয়েছেন এডিজি অ্যান্ড আইজিপি টেলিকমিউনিকেশন ওয়েস্ট বেঙ্গল পদে। তাঁর নতুন পদ হচ্ছে এডিজি সিআইএফ ওয়েস্ট বেঙ্গল।

রাজ্যপুলিশে রদবদল
গতমাসেও করা হয় একগুচ্ছ রদবদল
প্রসঙ্গত, রাজ্যে পুলিশ-প্রশাসনিক স্তরে মাঝেমধ্যেই রদমদল হয়ে থাকে। গত সেপ্টেম্বর মাসেও রাজ্যপুলিশে বড়সড় রদবদল করা হয়। একসঙ্গে বদল করা হয় ৩১ জন আইপিএস-কে। সেই রদবদলে তৎকালীন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার অখিলেশ কুমার চতুর্বেদীকে করা হয় আইজি জলপাইগুড়ি রেঞ্জ। আইপিএস মুকেশকে ডিআইজি বাঁকুড়া থেকে করা হয় ডিআইজি মুর্শিদাবাদ। আবার সি সুধাকর ছিলেন জলপাইগুড়ির ডিআইজি। তাঁকে করা হয় শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার। অন্যদিকে রশিদ মুনির খান ছিলেন ডিআইজি মুর্শিদাবাদ। তাঁকে করা হয় ডিআইজি হেড কোয়ার্টার।
এদিকে সরিয়ে দেওয়া হয় বারুইপুর পুলিশ জেলার এসপিকেও। বারুইপুরের এসপি পুষ্পাকে কলকাতা পুলিশের ব্যাটেলিয়ন টু-তে ডেপুটি কমিশনার করে পাঠানো হয়। পুষ্পার জায়গায় আনা হয়েছে ডায়মন্ড হারবারের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পলাশ চন্দ্র ঢালিকে। অন্যদিকে আবার মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার করা হয় সূর্য্যপ্রতাপ যাদবকে। কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিক পদে ছিলেন তিনি। উতত্তরবঙ্গের কোচবিহারে পুলিশ সুপার করা হয় দ্যুতিমান ভট্টাচার্যকে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার এসপি হন আইপিএস আনন্দ রায়। পাশাপাশি কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার এসপি করা হয় আনন্দ নাথকে।
এদিকে রদবদল করা হয় হুগলি ও পূর্ব বর্ধমানেও। পূর্ব বর্ধমান থেকে নিয়ে এসে হুগলির পুলিশ সুপার হয় কামনাশিস সেনকে। পাশাপাশি হুগলি থেকে নিয়ে গিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার করা হয় আইপিএস আমনদীপকে। পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ সুপার হন সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য। আর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার হন আইপিএস চিন্ময় মিত্তল।