কোথা থেকে এল এই উট?
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে দুটি উট নিয়ে এসেছেন এক ব্যক্তি। গ্রামে গ্রামে ঘুরে শিশুদের উটের পিঠে চাপিয়ে উপার্জনের পাশাপাশি বিনোদন দিচ্ছেন তিনি। গ্রামীণ এলাকার মানুষ সাধারণত উট দেখতে পান না। আগে শীতকালে নিয়ম করে ছোট থেকে বড় সার্কাস কোম্পানি আসত শহর থেকে জেলায়। বাঘ-সিংহ সহ হাতি-উটও দেখা যেত। কিন্তু, অ্যানিম্যাল ক্রুয়েলটি অ্য়াক্টের কারণে এখন সার্কাস থেকে বাদ পড়েছে পশু পাখির খেলা। এর জেরেই আকর্ষণ হারিয়েছে সার্কাস। বিশেষ করে এলাকা থেকে সার্কাস প্রায় উঠেই গিয়েছে। ফলে বর্তমান প্রজন্মের বহু ছেলে মেয়ে ছবিতেই উট দেখেছে। নইলে চিড়িয়াখানা ছাড়া যাদের রাজস্থান যাওয়ার সুযোগ ঘটেছে তারা অবশ্য মরুভূমিতেই দেখেছেন উট। পুরী সমুদ্রে ঘুরতে গেলেও সি বিচে এমনই উটের দেখা মেলে। যাদের পিঠে চেপে তোলা যায় ছবি। তবে সিংহভাগ এলাকাবাসীর এমন অভিজ্ঞতা নেই। তাই দরজা খুলেই এদিন এমন উট দেখে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। দলে দলে ভিড় জমায় ছেলে বুড়োর দল।
এবার ঘরের দরজায় দেখা মিলেছে মরুজাহাজের। এলাকার মানুষ নাম দিয়েছেন, দুয়ারে উট। কাছাকাছি কোন চিড়িয়াখানাও নেই। ফলে ছবিতে দেখা মরুযান অনেকের কাছে স্বপ্নের অধরা জন্তু হিসাবেই এতদিন ছিল। এরই মাঝে হঠাৎ গ্রামে বাড়ির দরজায় উটের দেখা। স্বাভাবিক কারণেই শিশুরা তো বটেই মরুভূমির উট দেখতে ভিড় করছেন বড়রাও। সামান্য টাকার বিনিময়ে উটের পিঠে চড়ে মজা নিচ্ছে শিশুরাও। সামসেরগঞ্জের ভাসাই পাইকর থেকে শুরু করে চাঁদনীদহা, কাকুড়িয়া কিংবা সাহেবনগর। উট আসতেই ভিড়ে ঠেলাঠেলি আমজনতার। অনেকেই বলছেন, এ সুযোগ পাব না আর। মরুভূমি কিংবা চিড়িয়াখানা গিয়ে নয়, বাড়ির দরজায় উটের দেখা পেয়ে খুশি মহিলা থেকে শিশু, ছেলে, বুড়ো। পাড়া গাঁয়ে ঘুরে ঘুরে লোককে আনন্দ দেওয়ার সঙ্গে আয়ও হয় উট মালিকের। সেই যৎসামান্য আয়েই দুই উটের ভরণ পোষণের খরচ সহ সংসারের পেট চালায় উট মালিক।