কাজলের মুখে ‘খেলা হবে’ স্লোগান
অনুব্রত মণ্ডলের ভঙ্গিতে এবার ‘খেলা হবে’ বললেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। বিরোধী দল থেকে নেতা কর্মীদের দলে টানতে কেষ্টর কোনও অনীহা ছিল না। কিন্তু এই ক্ষেত্রে কাজলের অবস্থান খানিক আলাদা। তিনি বললেন, ‘বিরোধীরা যদি ভোটের আগে দলে এসে ভাবেন নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব করবেন, সেটা হবে না না। তখন কথা হবে, দেখা হবে এবং খেলা হবে।’
মঙ্গলবার বীরভূমের জেলার রামপুরহাটে INTTUC-র বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। সেই অনুষ্ঠানে কাজল বলেন, ‘যাঁরা আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করছেন, তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে। যাঁরা ৩৬৫ দিন মানুষের পাশে থাকেন না তাঁরা বড় বড় কথা বলছেন। ভোটের বাজনা বাজলেই মানুষের পাশে এসে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন, অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে ভোট নেওয়ার চেষ্টা করেন কিছু মানুষ। সেই সমস্ত মানুষদের চিহ্নিত করে তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট করা জায়গায় পাঠিয়ে দিতে হবে। কোথায় পাঠাতে হবে, সেটা পরে বলব।’
সাংবাদিকদের মুখোমুখি তিনি আরও বলেন, ‘সময় এলে বিরোধীদের বুঝিয়ে দেব। যাঁরা ৩৬৫ দিন মানুষের পাশে থাকেন না, তাঁরাই ভোটের সময় এসে দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগানোর চেষ্টা করেন। ভোটের আগে এসে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগানোর চেষ্টা করা হলে দেখা হবে, খেলা হবে।’
অনুব্রতর গ্রেফাতিরর পরই জেলায় কাজলের উত্থান
অনুব্রত মণ্ডলকে গোরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরবর্তীকালে তাঁকে গ্রেফতার করে EDও। তিনি এখন দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। অনুব্রতর গ্রেফতারির পরই জেলা রাজনীতিতে গুরুত্ব বাড়তে থাকে কাজলের। তাঁকে কোর কমিটির সদস্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর সেই কাজলের হাতে তুলে দেওয়া হয় জেলা পরিষদের সভাধিপতির ব্যাটন।