কাজলের গলায় অনুব্রতর স্লোগান! বীরভূমে ফের ‘খেলা হবে’-র ইঙ্গিত? তুঙ্গে চর্চা


বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কাজল শেখের ‘শীতল’ সম্পর্ক নিয়ে এক সময় বিস্তর চর্চা হয়েছে। অনুব্রতর দাপটে নানুরের তৃণমূল নেতা ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন বলে এক সময় দাবি করতেন কাজল অনুগামীরা। ভাগ্যের ফেরে সেই কাজল এখন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি। অন্যদিকে গোরুপাচার কাণ্ডে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু তাসত্ত্বে ‘অনুব্রত আমার নেতা’, কাজলের মুখে বরাবরই শোনা গিয়েছে কেষ্ট-স্তুতি। এবার নেতার দেখানো পথে তাঁর বুলি আওড়েই বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিলেন কাজল শেখ।

কাজলের মুখে ‘খেলা হবে’ স্লোগান

অনুব্রত মণ্ডলের ভঙ্গিতে এবার ‘খেলা হবে’ বললেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। বিরোধী দল থেকে নেতা কর্মীদের দলে টানতে কেষ্টর কোনও অনীহা ছিল না। কিন্তু এই ক্ষেত্রে কাজলের অবস্থান খানিক আলাদা। তিনি বললেন, ‘বিরোধীরা যদি ভোটের আগে দলে এসে ভাবেন নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব করবেন, সেটা হবে না না। তখন কথা হবে, দেখা হবে এবং খেলা হবে।’

মঙ্গলবার বীরভূমের জেলার রামপুরহাটে INTTUC-র বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। সেই অনুষ্ঠানে কাজল বলেন, ‘যাঁরা আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করছেন, তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে। যাঁরা ৩৬৫ দিন মানুষের পাশে থাকেন না তাঁরা বড় বড় কথা বলছেন। ভোটের বাজনা বাজলেই মানুষের পাশে এসে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন, অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে ভোট নেওয়ার চেষ্টা করেন কিছু মানুষ। সেই সমস্ত মানুষদের চিহ্নিত করে তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট করা জায়গায় পাঠিয়ে দিতে হবে। কোথায় পাঠাতে হবে, সেটা পরে বলব।’

Jyotipriya Mallick Daughter: ‘কেষ্টর মতো তাঁর মেয়েরও একই গতি হয়েছে, তেমনই…!’ রেশনকাণ্ডে ‘বালু’ কন্যাকে নাম না করে কটাক্ষ দিলীপের
সাংবাদিকদের মুখোমুখি তিনি আরও বলেন, ‘সময় এলে বিরোধীদের বুঝিয়ে দেব। যাঁরা ৩৬৫ দিন মানুষের পাশে থাকেন না, তাঁরাই ভোটের সময় এসে দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগানোর চেষ্টা করেন। ভোটের আগে এসে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগানোর চেষ্টা করা হলে দেখা হবে, খেলা হবে।’

অনুব্রতর গ্রেফাতিরর পরই জেলায় কাজলের উত্থান

অনুব্রত মণ্ডলকে গোরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরবর্তীকালে তাঁকে গ্রেফতার করে EDও। তিনি এখন দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। অনুব্রতর গ্রেফতারির পরই জেলা রাজনীতিতে গুরুত্ব বাড়তে থাকে কাজলের। তাঁকে কোর কমিটির সদস্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর সেই কাজলের হাতে তুলে দেওয়া হয় জেলা পরিষদের সভাধিপতির ব্যাটন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *