কোতুলপুর পৌঁছে দলত্যাগী বিধায়ককে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলেন, ‘সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চাকুরিরত স্ত্রীর বদলি আটকাতেই ‘ছিন্নমূল’ বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছে।’ নাম না করে ঠিক এই ভাষাতেই কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহারকে আক্রমণ করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কোতুলপুরে দলের বিজয়া সম্মিলনীতে পুলিশি অনুমতি নাম মেলায় ও পরে আদালতের দ্বারস্থ হয়েও সভার অনুমোদন না থাকায় তিনি টেলিফোনেই বক্তব্য রাখেন। জানান।
শুধু শুভেন্দু নন হরকালীকে আক্রমণ করেন দলের নেতা ও বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। BJP বিধায়ক হরকালী প্রতিহার শাসক দলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সৌমিত্র বলেন, ‘ও তো একটা ভোগী, ওকে নেতা বলে মনে করি না।’ তবে এরপর তৃণমূল কর্মীরা ‘অত্যাচারিত’ হবে বলে তিনি দাবি করেন। এদিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এরাজ্যে গণতন্ত্র ভেঙ্গে পড়েছে, বিজয়া সম্মিলনীতে বিরোধী দলনেতা আসতে পারবেননা এটা কি করে হয়!’ ‘ভৃত্যের ভূমিকা’ পালনকারী পুলিশ মনিবের কথা মতো কাজ করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
তৃণমূলে নাম লেখানো কোতুলপুরের BJP বিধায়ক হরকালী প্রতিহারকে এক হাত নেন BJP বিধায়ক দিবাকর ঘরামী। তিনি বলেন, ‘এই দলবদলু গুলোকেও একটু দিতে হবে। তখন দলবদলু বলবে আমি তো চুরি করিনি, ক’দিন আগেই এসেছি।’ তবে যে চুরি করে সে যেমন অপরাধী, তেমনি যে চুরির সমর্থণ করে সেও সমান অপরাধী।’ তাই এই ‘চুরি’র খেসারত ওই ‘দলবদলু বিধায়ক’কেও দিতে হবে বলে তিনি সভামঞ্চ থেকে দাবি করেন। একইসঙ্গে নাম না করে তৃণমূল নেতা কর্মীদের ঝাঁটা পেটা করার নিদান দিলেন সোনামুখীর BJP বিধায়ক দিবাকর ঘরামী। বুধবার কোতুলপুরে দলের ‘বিজয়া সম্মিলনী’তে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘কোতুলপুরের মানুষের কাছেও সময় আসবে। যখন পশ্চিম বঙ্গের বড় চোর গুলো যখন ধরা পড়বে, এই ছোটো চোর গুলো যখন আপনার পাড়ায় যাবে তখন ভালো করে একটু খাতির যত্ন করে দেবেন। মায়েরা সকাল বেলায় উঠে যেটা দিয়ে উঠোন পরিস্কার করেন সেটা দিয়েই খাতির যত্ন করে দেবেন।’