কী বললেন সেলিম?
সেলিম এদিন জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক দশক ধরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে খাদ্যমন্ত্রী এজন্যেই করেছিল, যাতে রেশন চুরি করে তার ৭৫ শতাংশ ভাগ যাতে তাঁদের কাছে পৌঁছয়, বাকি ২৫ ভাগ নিয়ে সাম্রাজ্য বিস্তার করে।’ তাঁর কথায়, ‘ এখন যেটা উদ্ধার হচ্ছে, সেটা চার আনার অংশ। বাকি বারো আনা কালীঘাটে আছে।’
ন্যানো কারখানা নিয়ে অসন্তোষ
ইতিমধ্যেই বিশেষ ট্রাইব্যুনাল রাজ্য সরকারকে টাটা গোষ্ঠীকে ৭৬৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, টাটার কারখানা নিয়ে বাম জমানায় তীব্রতর আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সিপিএম নেতৃত্ব। সেলিমের কথায়, ‘মমতার জেদের কারণেই টাটা গোষ্ঠী এ রাজ্য থেকে চলে গিয়েছে। উনি ওটা মোদীকে গিফট করেছেন।’ তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুল নীতি এবং জেদের জন্য টাটা কারখানা তৈরি হয়নি রাজ্যে। সরকারের তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে নিজেদের পকেট থেকে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত বলে জানান তিনি।
কর্মসূচির প্রচার
সেলিম এদিন আরও জানান, বেকারত্ব থেকে শুরু করে ধর্মীয় ভেদাভেদ এর বিরোধিতা করে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইজরায়েলের আগ্রাসনের বিরোধিতা করে আগামী ৮ তারিখ বামফ্রন্টের তরফে একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ইজরায়েল ইস্যুতে সেলিম জানান, রাজ্য সরকার বিষয়টি নিয়ে চুপ করে আছে, কারণ মোদী সরকার ইজরায়েলকে সমর্থন করছে। এই বিষয়টি নিয়েও তৃণমূল ও বিজেপির প্রচ্ছন্ন সমঝোতার ইঙ্গিত করেন সিপিএম নেতা।
হাওড়ার কদমতলা বাসস্ট্যান্ডে সন্ধ্যায় একটি জনসভা করেন মহম্মদ সেলিম। সিপিএম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির বর্ধিত অধিবেশন উপলক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।সেলিম ছিলেন প্রধান বক্তা।এরআগে হাওড়া সদরে পার্টির সদর দপ্তরে একটি আলোচনা সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন।