Diwali 2023 : বাজি পরীক্ষায় পর্ষদে আর্জি পুলিশের, ফের বৈঠক পরশু – diwali 2023 firecrackers test at tala park on saturday


এই সময়: সব ঠিকঠাক থাকলে তিন বছর পর শনিবার টালা পার্কে বাজি পরীক্ষা হতে চলেছে। কলকাতা পুলিশ চাইছে, শহরে কালীপুজো-দেওয়ালিতে শুধু সবুজ বাজিই পুড়ুক। সে কারণে বাজি-বাজার শুরু হওয়ার আগে বাজি পরীক্ষার জন্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে আর্জি জানিয়েছে তারা। তাতে পর্ষদ সম্মতও হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। ঘটনা হলো, এ বারই রাজ্যে শব্দবাজির ক্ষেত্রে শব্দের মাত্রা বাড়িয়ে ৯০ থেকে ১২৫ ডেসিবেল করেছে পর্ষদ।

আলোর বাজির ক্ষেত্রে শব্দের মাত্রা থাকতে হবে ৯০ ডেসিবেলের মধ্যে। শব্দবাজির শব্দমাত্রা যা করা হয়েছে তাতে সব ধরনের বাজিই পাস হয়ে যাবে বলে নির্দেশিকা প্রকাশের পর থেকেই অভিযোগ করছেন পরিবেশকর্মীরা। আবার বাজি পরীক্ষার সময়ে শব্দবাজিগুলি সবুজ কিনা, সেটা যাচাই হবে কী ভাবে, তা নিয়েও ধন্দ প্রভূত।

কলকাতা পুলিশের এক কর্তা মঙ্গলবার রাতে বলেন, ‘আমরা চাইছি বাজারে আসার আগে বাজি পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে। কারণ, লাগাতার টেস্ট করলে বাজি সবুজ কিনা যাচাইয়ে সুবিধে হবে।’ এ কাজে সাহায্য করার জন্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বিশেষজ্ঞদের বাজি পরীক্ষার সময়ে থাকার কথা বলা হয়েছে। কারণ, বাজি পরিবেশ-বান্ধব কিনা, সেটা বোঝার মতো লোক পর্ষদেই থাকতে পারেন।

কালীপুজোর সাতদিন আগে টালা, কালিকাপুর, বেহালা ও বিজয়গড়ে বাজার বসে। বাজি-বাজার বসার আগে টেস্টের পাশাপাশি বাজি-ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শুক্রবার ফের বৈঠকেও বসতে চলেছে পুলিশ। কিছু দিন আগেও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সবুজ বাজি ছাড়া অন্য কোনও বাজি বিক্রি করা যাবে না। ব্যবসায়ীদেরই এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। শুক্রবারের বৈঠকে বিষয়টি ফের মনে করিয়ে দেওয়া হবে।

Diwali 2023 : মুচলেকা দিয়েই সবুজ বাজি বেচতে হবে বঙ্গে
গতবার থেকেই রাজ্যে শুধুমাত্র ‘নিরি’র লোগো এবং কিউআর কোড রয়েছে–এমন বাজিই বিক্রির অনুমতি রয়েছে। কিন্তু সেই বাজির আড়ালে গতবার দেদার নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি হয়েছে। এ বারে তার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে তাঁদের পক্ষে যা যা করার, সবই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (রিজার্ভ ফোর্স) অভিষেক গুপ্তা।

তিনি বলেন, ‘যে যে পথে শহরে বাজি ঢোকে, সেখানে চেকিং বাড়ানোর পাশাপাশি বড় বড় মার্কেটগুলিতে নজরদারি চলছে।’ পরিবেশকর্মী তথা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন মুখ্য আইন আধিকারিক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় অবশ্য মনে করেন, ‘শুধু শব্দের মাত্রা পরীক্ষা করলেই হবে না। প্যাকেটের বাইরে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করেও দেখতে হবে নিয়ম মেনে বাজি তৈরি হয়েছে কিনা।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *