দুশ্চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা
দীপাবলির আর হাতেগোনা কয়েকটা দিন বাকি। তারপরেই দিওয়ালি। আর দেওয়ালি মানেই নানা রঙের আলো এবং মাটির তৈরি প্রদীপ দিয়ে বাড়ি সাজানোর পালা। বর্তমানে চিনা আলোর রমরমায় অনেকটাই পিছিয়ে মাটির প্রদীপ। ফলে চরম চিন্তায় রয়েছেন প্রদীপ শিল্পীরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের ডুমুরগাড়িয়া এলাকায় দেখা গেল তেমনই চিত্র। ডুমুরগাড়িয়া এলাকায় প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি পরিবার এই মাটির প্রদীপ তৈরির সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন পুজো পার্বণ এলেই মাটির সরঞ্জাম তৈরির কাজে লেগে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। বাজারে সেই সমস্ত সরঞ্জাম বিক্রি করেই চলে তাঁদের সংসার।
ঘুরে ঘুরে চলে প্রদীপ বিক্রি
পাশাপাশি এই দীপাবলির সময় মাটির প্রদীপ তৈরি করে গ্রামগঞ্জে ঘুরে ঘুরে তাঁরা বিক্রিও করেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে বৈদ্যুতিক লাইটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে চলেছে সাবেকি এই প্রদীপ শিল্প। ফলে চিন্তিত এলাকার প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি পরিবার। এই প্রসঙ্গে এক মহিলা মৃৎশিল্পী জানান, আগে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার প্রদীপ বিক্রি করা হত। কিন্তু বর্তমানে সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজারে। এই বছর বাজার আরও কমতে পারে বলে অনুমান করছেন তাঁরা। আর তেমনটা বাস্তবে হলে, সংসার চালাতে কার্যতো হিমশিম খেতে হবে তাঁদের। এমত অবস্থায় শিল্পীদের আশঙ্কা, যদি সরকার কোনওরকম সাহায্য না করে, তাহলে আগামীদিনে আরও বড় সমস্যায় পড়তে হতে পারে তাঁদের। সেক্ষেত্রে তাই সরকারি সহযোগিতার আর্জি জানাচ্ছেন তাঁরা।
দীপাবলি সকলের ঘরে আলো ও আনন্দ নিয়ে আসে। বিক্রিবাটা হলে, উৎসব পার্বণের দিনে কিছুটা আনন্দ উপভোগ করতে পারেন মৃৎশিল্পীরাও। আর যদি লাভের মুখ দেখতে না পারেন, তাহলে সবটাই অন্ধকার। সেক্ষেত্রে এখন ক্রেতাদের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন ডুমুরগাড়িয়ার মৃৎশিল্পীরা।