Herbal Tree : উদ্ভিদের গুণাগুণ জানুক নবপ্রজন্ম, ৩০০টি দুর্মূল্য ভেষজ গাছের উদ্যান হল দুর্গাপুরে – herbal tree garden inaugurated at pandaveswar bardhaman


ভেষজ উদ্ভিদের গুণাগুণ প্রায় সকলেরই জানা। সুস্বাস্থ্য থেকে রোগ নিরাময় অনেক ক্ষেত্রেই ভেষজ উদ্ভিদের জুড়ি মেলা ভার। যুগ যুগ ধরে এই সমস্ত উদ্ভিদের উপকার পেয়ে আসছে মানব সমাজ। ভেষজ উদ্ভিদের কার্যকারিতা নিয়ে কাজ হয়েছে চিকিৎসক মহলেও। এবার ৩০০ প্রজাতির মহা মূল্যবান ভেষজ উদ্ভিদের উদ্যান গড়ে উঠল পাণ্ডবেশ্বরে।

কী জানা যাচ্ছে?

তুলসী, চন্দনতুলসী, পিপুল, এলাচ, ম্যাক্সিকান মিন্টের মত প্রায় ৩০০ উদ্ভিদের সঞ্জীবনী ভেষজ উদ্যান গড়ে উঠল পাণ্ডবেশ্বরে। পাণ্ডবেশ্বর ব্লক প্রাঙ্গণে সঞ্জীবনী ভেষজ উদ্যান এর শুভ উদ্বোধন হয় মঙ্গলবার। পাণ্ডবেশ্বর ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে এই ভেষজ উদ্যানটি নির্মাণ করা হয়েছে। উদ্যানটির উদ্বোধন করেন পাণ্ডবেশ্বর-এর বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মহাশ্বেতা বিশ্বাস, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রমা রুইদাস সহ অন্যান্য আধিকারিকগণ।

মানুষের কল্যাণ ভেষজ উদ্যান

এই ভেষজ উদ্যানে মানুষের শারীরিক কল্যাণে উপকারী প্রায়ই 300 প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মহাশ্বেতা বিশ্বাস বলেন, ‘আগামী দিনে সাধারণ মানুষের ভেষজ উদ্ভিদের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে এহেন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৩০০ টি ভেষজ উদ্ভিদ মানুষের কল্যাণে কোন না কোন অংশে কাজে লাগে।’ তাঁর কথায়, যে ভেষজ গাছগুলি কালের নিয়মে হারিয়ে যাচ্ছে তাদের পরিবেশের মধ্যে ফিরিয়ে আনা কর্তব্য বলে মনে করি।
এমনিতেই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় থেকে বিভিন্ন জায়গায়। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং মানব সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয় গোটা পৃথিবী জুড়ে। তবে সাধারণ বৃক্ষের পাশাপাশি রোগের যম বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে মানব সমাজে। অনেক মানুষই নিজের স্বাস্থ্য টিকিয়ে রাখতে এবং রোগ নিরাময়ের জন্যেও এই ভেষজ উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ ব্যাবহার করে থাকেন।

Asansol Teacher : ‘রাস্তার মাস্টার’ এবার ইউনেস্কো-মনোনয়নে

সেই প্রয়োজনীয়তার কথাই তুলে ধরা হয় এদিনের অনুষ্ঠানে। আগামী প্রজন্মকে এই ভেষজ উদ্ভিদের সম্পর্কে সচেতন করতে এবং সর্বোপরি মানব কল্যাণে এই ভেষজ উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ কাজে লাগাতেই এই ধরনের উদ্যান নির্মাণ করা হল বলেই জানানো হয়েছে। শুধু পাণ্ডবেশ্বর এলাকা নয়, গোটা জেলার মানুষ এই ভেষজ উদ্যান থেকে উপকৃত হতে পারবেন বলেই জানানো হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *