Indian Railway Pension Rules : স্বামীর দুটি বিবাহে পেনশন নিয়ে জটিলতা, অবশেষে মুখে হাসি প্রথম স্ত্রীর – indian railway pension problem solved for a women at jhargram by legal service authority


স্বামী ছিলেন রেল বিভাগে কর্মরত। নিয়ম অনুযায়ী পেনশন পাওয়ার কথা স্ত্রীর। অথচ, সেই প্রাপ্য পেনশনের টাকা থেকেই বঞ্চিত হচ্ছিলেন এক বয়স্কা। এক-দুই বছর নয়, দীর্ঘ ছয় বছর ধরে বিভিন্ন দরজায় ঘুরেছেন তিনি। কিন্তু, সমাধান হয়নি। অবশেষে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় মুখে হাসি প্রয়াত রেল কর্মীর স্ত্রীর। ঘটনা ঝাড়গ্রাম জেলায়।

কী জানা যাচ্ছে?

ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ছ’বছরের সমস্যা সমাধান হল মাত্র ছয় মাসে। রেলের পারিবারিক পেনশন চালু হল বৃদ্ধার। পেনশন সহ বকেয়া হাতে পেয়ে খুশি বৃদ্ধা সরস্বতী সোরেন। ঝাড়গ্রাম ব্লকের চন্দ্রী গ্রাম পঞ্চায়েতের ধানঘোরী এলাকার বাসিন্দা সরস্বতী সোরেন। তাঁর স্বামী লক্ষণ সোরেন বিহার রাজ্যের বেগুরসরাই জেলার গডধরা রেলের আরপিএফের আসিট্যান্ট কমান্ডন্ট পদে কর্মরত ছিলেন।
এরই মাঝে রেলকর্মী সুরুবালি সোরেনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন লক্ষণ। চাকরি জীবন থেকে তিনি অবসর নেওয়ার পর ব্যাঙ্কের পাসবুকে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সুরুবালি সোরেনের নাম নথিভুক্ত করেন। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর কাছে থাকাকালীন ২০১৮ সালে মৃত্যু হয় লক্ষণ সোরেনের। তারপরেই ব্যাঙ্কে গিয়ে পারিবারিক পেনশনের জন্য আবেদন করেন লক্ষণের প্রথম পক্ষের স্ত্রী সরস্বতী সোরেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সমস্যার কথা জানতে পেরে রেলকে চিঠি করে পেনশন বন্ধ করে দেন। এর ফলে সমস্যায় পড়েন প্রথম পক্ষের স্ত্রী সরস্বতী সোরেন।

পেনশন পেতে বাড়ে জটিলতা

যদিও লক্ষণ সোরেনের রেলের পিপিও বইতে নাম ছিল প্রথম পক্ষের স্ত্রী সরস্বতী সোরেনের। মায়ের পেনশন চালুর জন্য সরস্বতী সোরেনের মেয়ে ভারতী মুর্মু দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সুরুবালির সঙ্গে যোগাযোগ করে পিপিও বই, লক্ষণ সোরেনের ডেথ সার্টিফিকেট সহ ডকুমেন্ট দাবি করেছিলেন। কিন্তু সুরুবালি লক্ষণ সোরেনের কোনও ডকুমেন্ট দেয়নি বলে দাবি। সঠিক ডকুমেন্ট জমা করতে না পারায় রেল কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সাল থেকে পারিবারিক পেনশন বন্ধ করে দেয়।

আইনি পরিষেবা কেন্দ্রের দ্বারস্থ

গত ছ’মাস আগে এই সমস্যা নিয়ে ভারতী মুর্মু তাঁর মা সরস্বতী সোরেনকে নিয়ে আসেন ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের অফিসে। সমস্যার কথা লিখিত ভাবে জানানোর পর ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব একটি প্রি লিটিগেশন মামলা রুজু করেন। তারপর রেল কর্তৃপক্ষ, সুরুবালি সোরেন এবং সরস্বতী সোরেনকে নোটিশ করে ডেকে পাঠিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হয়।

Pension Plan: প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেও এবার মিলবে পেনশন! দারুণ সিদ্ধান্ত সরকারের, জানুন বিশদে
গত মাসে পারিবারিক পেনশনের বকেয়া টাকা এবং মাসিক পেনশন ২৫ হাজার টাকা হাতে পান সরস্বতী সোরেন। এদিন ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব সুক্তি সরকার মামলাটির নিষ্পত্তি করেন। পেনশন হাতে পেয়ে বৃদ্ধা বলেন,’গত ছ’বছর খুবই আর্থিক সমস্যার মধ্যে কেটেছে। জেলা আইনি পরিষেবা অফিসে আসার পর মাত্র ছ’মাসের মধ্যে আমার পেনশন চালু হল। বিনামূল্যে এই সাহায্য না পেলে হয়তো মরে যেতাম কিন্তু রেলের পেনশন হাতে পেতাম না!’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *