তবে বালুর পাশে দাঁড়িয়েও আর এক মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, দোষ করলে ধৃত মন্ত্রীর পাশে দল দাঁড়াবে না। অন্য দিকে, বিজেপি এবং সিপিএম এ দিনও বালু নিয়ে শাসকদলকে নিশানা করেছে। নৈহাটির বিধায়ক তথা সেচমন্ত্রী পার্থ মঙ্গলবার দুপুরে কাঁচরাপাড়ার কাঁপা-চাকলা পঞ্চায়েতে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘বোঝাই যাচ্ছে বালুদার গ্রেফতারি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে বালুদাকে গারদে পুরে দলকে ছোট করা যাবে না।’
তাঁর দাবি, ২০২১ সালের পরে কোনও দুর্নীতি হয়নি। পার্থর অভিযোগ, ১০০ দিনের প্রকল্প এবং আবাস যোজনার টাকার দাবিতে যে লড়াই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লি থেকে শুরু হয়েছিল, সেই লড়াইয়ের অভিমুখ ঘোরানোর জন্যেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এ সব করে লাভ হবে না। টাকা দেওয়ার জন্যে দিল্লি থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। ফলে ১ নভেম্বর থেকে রাস্তায় নেমে আন্দোলন হবে। আন্দোলনের ঝাঁজ কমবে না।’
বালুর পাশে দাঁড়িয়ে পার্থ বলেন, ‘মাথায় রাখতে হবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক খাদ্যমন্ত্রী থাকার সময়েই এক লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে। রেশন কার্ডের ডিজিটাইজেশন হয়েছে, করোনার সময়ে মানুষের দুয়ারে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।’ সেচমন্ত্রীর সংযোজন, ‘ফাইনাল তো ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে হবে। এত কিছু করেও লাভ হবে না। উত্তর ২৪ পরগনায় পাঁচটা আসনই আমরা পাব।’
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দিঘার কয়েকটি হোটেলের ছবি দেখিয়ে তা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর বলে যে অভিযোগ করেছেন, সেই প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, ‘এই রকম অভিযোগ তো আমিও করতে পারি। কিন্তু কোনও কাগজপত্র দেব না। কেমন লাগবে তা হলে?’
অন্য দিকে, কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব বলেন, ‘জ্যোতিপ্রিয় আমার অত্যন্ত প্রিয় এক নেতা। ওঁর গ্রেপ্তারিতে খুব দুঃখ পেয়েছি। তবে বালু যদি কোনও দোষ করে থাকে, তা হলে আমি বা দল কেউ ওর পাশে থাকবে না।’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘যা খবর পাচ্ছি, তাতে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর জেলবাস দীর্ঘ হবে।’ বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘যে উদ্দেশ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা উচিত।
অনেক ভিতরের লোক তিনি, অনেক পুরোনো লোক! তাই অনেক কিছু তথ্য বেরোতে পারে।’ দিলীপের এ রকম ‘উদ্দেশ্য’-ইঙ্গিতে তৃণমূলের তোপ, আবারও প্রমাণ হচ্ছে, মোদী সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এজেন্সি ব্যবহার করছে বিরোধীদের বিরুদ্ধে।