মুখ্যমন্ত্রীর ভুল চিকিৎসার খবর শুনে এই সময় ডিজিটালকে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের চিকিৎসা ঠিক মতো হয়নি এবং তাঁকে বিব্রত হতে হয়েছে, তাঁর কষ্ট হয়েছে, এটা শোনার পর রাজ্যের মানুষ হিসেবে আমি অত্যন্ত মর্মাহত এবং উদ্বিগ্নও। আমরা রাজ্যের সাধারণ মানুষ, আমাদের ভুল চিকিৎসা হলে তাও সেটা কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনও একজন ডাক্তার থাকেন না। ডিরেক্টর থেকে স্পেশালিস্ট, এইচওডি থেকে সুপার সবাই থাকেন। এতগুলো লোকের সামনে ভুল হয়ে গেল, এতে খুব উদ্বেগজনক বার্তা দেয়। এরপর প্রশ্ন জাগছে পিজি কি তাহলে নিজের সুনাম বজায় রাখার মতো জায়গায় থাকছে না? আগে পিজি বলতে লোকে অজ্ঞান ছিল।’
মাসখানেক আগেই এসএসকেএম-এর চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। দালালচক্র নিয়ে অভিযোগও জানিয়েছিলেন। যদিও এদিন বিধায়ক নিজেই বলেন তিনি কোনও রাজনীতি বা অন্য প্রসঙ্গে এসএসকেমএম নিয়ে কথা বলতে চান না। কিন্তু তুমি মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। তাতে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের কোনও ক্ষতি হয়ে গেলে, বাংলার ১৩ কোটি মানুষ খুব ভয় পেয়ে যাবেন। কারণ তারা মুখ্যমন্ত্রীর উপর নির্ভরশীল। উনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান এই প্রার্থনা করছি। একইসঙ্গে আমার প্রার্থনা মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসা বিভ্রাটই যেন হয় এসএসকেএম-এর শেষ চিকিৎসায় ভুল।’
এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার দশ বারো দিন আইভি ইঞ্জেকশন চলেছে। কারণ ভুল ট্রিটমেন্টের জন্য আমার পায়ের ক্ষতটা সেপটিকের মতো হয়ে গিয়েছিল।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর আক্রমণ শানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘SSKM হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রীর ভুল চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।’
শুভেন্দুর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মদন মিত্র বলেন, ‘আসলে মুখ্যমন্ত্রী সত্যি কথা বলেন। সত্যিকে সত্যি ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলেন। সেটা শুভেন্দু মেনে নিতে পারছে না কারণ ও সত্যি বলতে জানে না। মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে কষ্ট হয়েছে, লেগেছে সেটা তিনি বলেছেন। শুভেন্দু হলে বলত এমন চিকিৎসা সিঙ্গাপুরেও হয় না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সত্যিটাই বলেছেন। তিনি ওর মতো হিপোক্রিট নন।’