কী জানা যাচ্ছে?
কয়েক সপ্তাহ আগেই কলকাতা সহ জেলাগুলিতে পেঁয়াজের দাম ছিল কমবেশি ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। সেই পিয়াঁজের দাম বর্তমানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। মধ্যবিত্তের রান্নাঘরে বাড়ন্ত হতে বসেছে এই নিত্য ব্যবহারকারী সবজি। এই সুযোগে কালোবাজারি হচ্ছে যথেষ্ট।
দাম বৃদ্ধির কারণ?
ব্যাবসায়ীদের একাংশ বলছেন, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে বর্ষাকালীন পেয়াঁজ চাষে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। যে কারণে চাহিদা যথেষ্ট টান রয়েছে। পাশাপাশি, আরেকাংশের মতে, ভিন রাজ্য থেকে পেঁয়াজের গাড়ি রাজ্যে ঢোকার আগেই অনেক জায়গায় আটকে গিয়েছে। উৎসব চলাকালীন বড় পণ্যবাহী গাড়ি আটকানো হয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকায়। যে কারণে গাড়িতেই পচে অনেক পিয়াঁজ নষ্ট হয়েছে। দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একাধিক জেলায় শুরু হয়েছে কালোবাজারিও।
বাংলাদেশে রপ্তানি
মালদার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের মহদীপুর স্থল বন্দর দিয়ে দেদার বাংলাদেশ পেয়াঁজ রপ্তানি হচ্ছে বলে খবর। তার কিছুটা প্রভাবে পড়ছে এপার বাংলায়। বর্তমানে মালদা শহরের রথবাড়ি, আম বাজার সহ একাধিক মার্কেটে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ কিলো দরে। এই বিষয়ে জেলা ব্যবসায়ী নেতা তথা রপ্তানিকারক উজ্জ্বল সাহা জানান, মহারাষ্ট্র সহ বিভিন্ন রাজ্যে পেয়াঁজ উৎপাদন হয়। কিন্তু এ বছর উৎপাদন কম হওয়ায় পেঁয়াজের দাম অগ্নি মূল্য। তার পাশাপাশি আমাদের চাহিদা মেটানোর পরও বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করা হচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ীরা মনে করি, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করা হলে পিঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।
ক্রেতারা কী বলছেন?
পেঁয়াজের দাম নিয়ে এক ক্রেতা সৌমেন্দ্র মণ্ডল, জানান, পুজোর পর হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাঁদের কপালে। পুজোতে এমনিতেই খরচা হয়েছে। তারপরে এইভাবে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় সাংসারিক খরচায় টান পড়ছে।
উল্লেখ্য, পেঁয়াজের দাম বর্তমানে কোচবিহারে ৭০ টাকা, মালদা এবং দুই দিনাজপুর ও নদিয়া জেলায় ৭০-৮০ টাকায়। উত্তর ২৪ পরগনার বেশিরভাগ বাজারে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে পেয়াঁজ হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও পেঁয়াজের দাম আশি ছুঁই ছুঁই। ভিন রাজ্য থেকে পেঁয়াজের জোগান না বাড়লে আরও কিছু দিন মানুষকে এই দাম সহ্য করতে হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।