দিলীপ ঘোষ : ‘চাষযোগ্য জমি দিয়েছে সিপিএম, কারখানা তুলেছে তৃণমূল’, টাটা ইস্যুতে আক্রমণ দিলীপের – dilip ghosh attacks cpim and tmc both for tata nano company land attribution case


সিঙ্গুরে টাটার ন্যানো কারখানা না হওয়ার কারণে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সরকারের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। এবার টাটার ন্যানো কারখানা না হওয়া নিয়ে সিপিএম এবং তৃণমূলকে একযোগে দুষলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

কী জানালেন দিলীপ?

তাঁর মতে, ন্যানো ফ্যাক্টরিকে সর্বোপরি টাটা গোষ্ঠীকে চাষযোগ্য জমি দিয়ে ভুল করেছিল সিপিএম। এরপর প্রায় চালু হয়ে যাওয়া ফ্যাক্টরি বন্ধ করে রাজনীতি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। টাটা গোষ্ঠী বাংলা ছেড়ে চলে যাওয়াতে আদতে এ রাজ্যের বিরাট ক্ষতি হয়েছে বলেই মনে করছেন তিনি। এরপরেই দিলীপ বলেন, ‘বাংলার মানুষের সর্বনাশ করে যারা রাজনীতি করে তাদের সাজা পাওয়া উচিত।’

ক্ষতিপূরণ নিয়ে তরজা

ইতিমধ্যেই বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সরকারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭৬৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। যদিও, এই টাকা সরকারের কোষাগার থেকে না দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি ফান্ড থেকে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ বিষয়ে একই সুরে দিলীপ বলেন, ‘জরিমানার টাকা আজ হোক কাল হোক দিতেই হবে। তবে সেই জরিমানা পশ্চিম বাংলার মানুষের ট্যাক্সের টাকায় দিলে হবে না। তৃণমূল যে টাকা চুরি করেছে, সেই টাকা থেকে জরিমানা দেওয়া উচিত।’

মহুয়া ইস্যুতে সরব

বুধবার সাত সকালে খড়্গপুরে চা চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। একাধিক বিষয় নিয়ে শাসক শিবিরকে তোপ দাগলেন তিনি। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিতর্ক নিয়ে দিলীপ জানান, একটা অন্যায় করার পর চাপা দেওয়ার জন্য হাজার কথা বলছেন মহুয়া মৈত্র। শুধু টাকা নয়, গাড়ি নিচ্ছে, বাড়ি নিচ্ছে, দামি দামি গিফট নিচ্ছে। অন্যায় যে উনি করেছেন তা উনি নিজেই মেনে নিচ্ছেন বলে দাবি তাঁর। পাশাপাশি, তাঁর এও দাবি, আদানিকে নিশানা করে মোদীর গায়ের স্পর্শ করা যাবে না

Singur Tata Case Verdict: ট্রাইব্যুনালের রায়ে ফের উত্তপ্ত সিঙ্গুর, রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ চাষীদের
উল্লেখ্য, টাটা বিতর্ক নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দল। সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যে ধার দেনা করে চলতে হচ্ছে। তারপরেও এত পরিমাণ টাকা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। তাঁদের দাবি, সুদ সমেত ওই টাকা প্রায় ১৬০০ কোটি টাকার বেশি অঙ্কে গিয়ে দাঁড়াবে। বাংলাকে দেউলিয়া করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পদক্ষেপ গুলি নিয়েছিলেন তরশ্য় এটি একটি বলে জানান সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *