১০৮ বছরের এই লক্ষ্মীপুজোয় দিদির সঙ্গে আসেন ভাইবোনও! সঙ্গে জিলিপি আর ব্রেক ডান্স…। Moulani Lakshmi Puja of one hundred eight years old arranged with a colourful mela with stalls of sweets


প্রদ্যুৎ দাস: লক্ষ্মীপূজার মেলায় মেতেছে মৌলানিনিবাসী। জলপাইগুড়ি জেলার মৌলানি নতুনহাটে লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে চারদিন ধরে বিরাট মেলার আয়োজন হয়েছে। ১০৮ বছরের এই লক্ষ্মীপুজো। এ পুজোর বিশেষত্ব– এখানে লক্ষ্মীর সঙ্গে রয়েছেন সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশ। লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে বসা এই মেলায় দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন বহুজন। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিস ও স্বাস্থ্য দফতর-সহ এই অঞ্চলের ক্লাব প্রতিষ্ঠানগুলির সক্রিয় সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে এই মেলা।

আরও পড়ুন: Jhargram Guptamani Temple: একদা নরবলিও হত! আজ বিবর্ণ, সংস্কারহীন মা গুপ্তমণির মন্দির…

দুর্গাপুজোর পরে লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে লক্ষ্মী-সহ চার দেবদেবী পূজিত হয়ে থাকেন এখানে। মালদা, জলপাইগুড়ি মালবাজার, ময়নাগুড়ি কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার-সহ দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন এখানে দোকানপাট জিতে। থাকে নাগরদোলা, রেলগাড়ি ইত্যাদি বাচ্চাদের নানা জয়রাইড, রয়েছে ব্রেক ডান্সের আসর, রয়েছে ফাস্ট ফুডের দোকান। আর রয়েছে জিলিপি ও নানান রকমের মিষ্টির দোকান। সেখানে ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়েছে। এই অঞ্চলের ও সন্নিহিত এলাকার ছোট থেকে বড় বহু মানুষ এই পুজো ও মেলায় অংশগ্রহণ করেন।

মেলায় প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমারী ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয় জলপাইগুড়ি শাখার তরফে এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। মেলায় আসা বহু মানুষ এই প্রদর্শনীতে ঈশ্বরীয় বিষয় শোনার জন্য ভিড় জমান।

আরও পড়ুন: Malbazar: মাঝে-মধ্যেই ছাগল-বাছুর খেয়ে যেত চিতাবাঘটি! ধরতে পাতা হল খাঁচা, তারপর?

এই মেলার বিশেষত্ব হল, রাত বাড়লেই ভিড় বাড়ে। রাত বাড়লেই মানুষের ঢল নামে এই মেলা-চত্বরে। লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয় এই মেলায় বলে জানান মৌলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা এই পুজো ও মেলা কমিটির উদ্যোক্তা রনজিত রায়। সর্বধর্মসমন্বয়ের সুরে বাঁধা এই মেলা প্রকৃত অর্থেই মিলনমেলার রূপ নেয়। 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *