বিষয়টি জানাজানি হতেই গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। শেষমেষ ওই ছেলেটির কাছ থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয় নাবালিকাকে। তবে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার পরেই বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে ওই আদিবাসী নাবালিকা। এই মুহূর্তে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে।
ঘটনায় নাবালিকার বাবা মার দাবি, ওই ছেলেটির সঙ্গে আগে সম্পর্ক ছিল মেয়ের। পরে মেয়ে সেই সম্পর্ক থেকে বেরোনোর চেষ্টা করে। অভিযোগ, পালটা মেয়েটিকে নানাভাবে উত্যক্ত করতে শুরু ওই ছেলেটি। এমনকী ওই ছেলের চাপে টিউশন থেকে স্কুল, সবটাই কার্যত বন্ধ হতে বসেছিল মেয়েটির। এরপরেই এই ঘটনাটি ঘটায় ওই পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে।
যদিও গোটা ঘটনায় নাবালিকা আদিবাসী পরিবারের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত স্থানীয় থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। ওই নাবালিক ছাত্রীর বাবা-মা জানাচ্ছেন, তাঁদের আর্থিক অবস্থা খারাপ, তাই তাঁরা কোনওরকম আইনি সমস্যায় জড়াতে চাইছেন না। তাঁরা শুধু চাইছেন তাদের মেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসুক। এদিকে হাসপাতাল সূত্রে খবর ওই নাবালিকার শারীরিক অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে অভিযুক্তের শাস্তি চাইছেন এলাকার বাসিন্দারা। একইসঙ্গে ওই নাবালিকা ও তার পরিবারের নিরাপত্তার দাবিও জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে মাঝেমধ্যেই ধর্ষণ তথা নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে। কোনও কোনও সময় তো ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগও উঠছে। এই ধরণের বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। অন্যদিকে অভিযোগ পেলেই দ্রুত তদন্তে নামছে পুলিশ। তদন্তের প্রেক্ষিতে গ্রেফতারও করা হচ্ছে অভিযুক্তদের।