Calcutta High court Latest News : দাসের মতো কাজ! পুলিশকে ভর্ৎসনা করে জরিমানা কোর্টের – calcutta high court justice abhijit ganguly on krishnendu adhikari case


এই সময়: সাক্ষী হিসেবে তলব করে আয়করের হিসেব চাওয়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাদা কৃষ্ণেন্দু করা মামলায় কাঁথির এসডিপিও-কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশ, সেই টাকা এসডিপিও-কে নিজের পকেট থেকে দিতে হবে। কৃষ্ণেন্দু এবং শুভেন্দুর ভাই সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর স্ত্রী সুতপা অধিকারীকে পাঠানো নোটিসও খারিজ করেছেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, পুলিশ এ ক্ষেত্রে দাসের মতো কাজ করেছে।

কাঁথি পুরসভার গ্রিন সিটি মিশনে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশ। মেচেদা-দিঘা বাইপাসে বাতিস্তম্ভ লাগানোয় দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সাক্ষী হিসাবে নোটিস পাঠানো হয় কৃষ্ণেন্দুকে। একই মামলায় সাংসদ শিশির অধিকারীর আর এক ছেলে তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দুর স্ত্রী সুতপা অধিকারীকেও নোটিস দেয় পুলিশ। এ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কৃষ্ণেন্দু।

Justice Abhijit Ganguly: শুভেন্দু অধিকারীর দাদা কৃষ্ণেন্দুকে তলব করায় পুলিশকে ভর্ৎসনা, SDPO এগরাকে জরিমানা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ওঠে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, সংশ্লিষ্ট মামলায় পুলিশ ঠিক কাজ করেনি। তাঁর মন্তব্য, ‘উর্দিতে যে অশোকস্তম্ভ রয়েছে, তার সম্মানরক্ষা করেননি এসডিপিও। দাসের মতো কাজ করেছে পুলিশ।’ বিচারপতি নির্দেশ দেন, আদালতের নির্দেশ ছাড়া সংশ্লিষ্ট মামলায় কৃষ্ণেন্দুকে আর কোনও নোটিস পাঠাতে পারবে না পুলিশ। যদি পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করে, তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে কাঁথির এসডিপিও সোমনাথ সাহাকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযোগ উঠেছিল ‘গ্রিন সিটি’ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন এলাকায় হাই মাস্ট বাতিস্তম্ভ, সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। ওই ঘটনায় সরাসরি নবান্নের নির্দেশে জেলাশাসকের নির্দেশে কমিটি গঠন করা হয়। ইতিমধ্যে তদন্তের বেশির ভাগ নথি সংরক্ষণ করা হয়েছে।

এই মামলায় কৃষ্ণেন্দু ও সুতপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠানো হয়। সেখানেই কৃষ্ণেন্দুর আয়করের তথ্য চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। বুধবার সরকারের তরফে আদালতে আবেদন করা হয়, তদন্তকারীদের সহযোগিতা করুন কৃষ্ণেন্দু। যা নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘উনি হেলিকপ্টারে হাজিরা দেবেন, নাকি হুইলচেয়ারে যাবেন, সেটা পরের কথা। আগে পুলিশ কী করেছে, আমি সেটা দেখব।’ এই বিষয়ে কাঁথির এসডিপিও কোনও মন্তব্য করতে চাননি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *