প্রসঙ্গত, গত মাসেই রাজ্যে বাজির শব্দমাত্রা বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে সর্বোচ্চ ৯০ ডেসিবেলের বাজিতে ছাড়পত্র দেওয়া হত। কিন্তু রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ নির্দেশিকা প্রকাশ করে জানিয়ে দেয়, রাজ্যে শব্দবাজি সর্বোচ্চ ১২৫ ডেসিবেল পর্যন্ত বিক্রি হতে পারে। তবে আতশবাজির ক্ষেত্রে তা সর্বোচ্চ ৯০ ডেসিবেল। আর এই নির্দেশিকার কথা জানাজানি হতেই বিভিন্নমহলে আশঙ্কা তৈরি হতে শুরু করে, এত দিন ধরে যে চকলেট বোমা লুকিয়ে চুরিয়ে বিক্রি হত, তা হয়তো এবার প্রকাশ্যে বিক্রি হবে। তবে সরকারি ওই নির্দেশিকায় এটাও বলা হয় যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী একমাত্র সবুজ বাজি (গ্রিন ক্র্যাকার্স) তৈরি, বিক্রি এবং পোড়ানো যাবে।
সূত্রের খবর, এই নির্দেশিকা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে দেয়নি। পরিবেশ দফতর তরফে এই বিষয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছিল। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ীই পরিবেশ দফতর পর্ষদকে জানায় এবং পর্ষদ সেই অনুযায়ী নির্দেশিকা প্রকাশ করে। প্রসঙ্গত, রাজ্য পরিবেশ দফতর এখন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।
এদিকে জানা যাচ্ছে, তালিকায় থাকা নিষিদ্ধ বাজির তালিকা ১০০ ছুঁয়েছিল বছর তিনেক আগেই। অর্থাৎ, তিন বছর আগেই নিষিদ্ধ শব্দবাজির তালিকায় ঢুকে পড়েছিল ১০০টিরও বেশি বাজি। কিন্তু করোনার ভাইরাসের কারণে তারপর থেকে আর বাজির শব্দের পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এবার তিন বছর বাদে টালা পার্কে আবার সেই পরীক্ষা হতে চলেছে। আগামী শনিবার সেই পরীক্ষা হবে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও ডেসিবেলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা বাজিগুলির মধ্যে অনেকগুলিই এবার বৈধতার স্বীকৃতি পেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।