Hooghly News : একবার দেখলেই চিনে ফেলে ফুল-ফল-দেশ, পাণ্ডুয়ার ছোট্ট আহান নাম তুলল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে – hooghly pandua child wins india book of records award good news


এ যেন বিস্ময় বালক! এখনও ভালো করে কথা ফোটেনি। কিন্তু তার মেধা রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বয়স ২ বছর হওয়ার আগেই আই কিউ টেস্টে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলে ফেলল পাণ্ডুয়ার আহান ইসলাম। ছোট্ট আহানকে নিয়ে গর্বিত গোটা পরিবার ও আত্মীয়স্বজন-পাড়া প্রতিবেশীরা।

শুরুটা হয়েছিল ছবির বই দেখে। ছেলে মাছ ফুল ফল চিনতে শিখেছে দেখে অ্যাকোয়ারিয়াম কিনে তাতে রঙিন মাছ রেখেছিলেন আজহারুল ইসলাম মোল্লা। মাছ চেনার পাশাপাশি ফুল ফল, বিভিন্ন দেশের পতকা ও গ্রহের নামও অনায়াসেই বলে দিতে পারে আহান। ছেলের এই আই কিউ দেখে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম নথিভুক্ত করেন আহানের মা অঙ্কিতা নাথ।

অঙ্কিতা জানান, সেপ্টেম্বর মাসের পনেরো তারিখে আবেদন করার পর আই কিউ টেস্টের ভিডিও পাঠানো হয়। দিন পাঁচেক পরে জানানো হয় আই কিউ টেস্টে পাশ করেছে আহান। গত সোমবার শংসাপত্র ও মেডেল এসে পৌঁছায় পাণ্ডুয়ার জয়পুর রোডের বাড়িতে। ছেলের কীর্তিতে খুবই খুশি পরিবার। তবে খুদে আহানের অবশ্য কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই সেই সব নিয়ে। বরং রেকর্ডের শংসাপত্র ও মেডেল নিয়ে খেলেই যাচ্ছে সে।

আহানের মা যা জানালেন…
আহানের মা অঙ্কিতা নাথ আরও জানান, ৬ মাস বয়স থেকেই আহানের বাবা বিভিন্ন ফল ও ফুলের বই এনে দিতেন। সেগুলিকে সে খুব মনোযোগ গিয়ে দেখত। এরপর এক বছর থেকে বিভিন্ন বিষয় সে শিখতে শুরু করে। জাতীয় ফুল, জাতীয় পাখি ও বিভিন্ন দেশের ছবি অনায়াসে দেখিয়ে দিতে পারে সে। আর সেই সব দেখেই তাঁরা ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে তার নাম পাঠায়। পরে সেখান থেকে মেডেল ও শংসাপত্র এসে পৌঁছায় বাড়িতে।

গর্বিত আহানের দাদু
এই বয়সে আহানের এমন রেকর্ডে দেখে খুশি তার দাদু মণিরুল ইসলাম মোল্লাও। তিনি মনে করেন, আগামীদিনে নাতিকে এইভাবে গাইড করলে সে আরও অনেক দূর এগোতে পারবে। শিশুরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বই থেকে শেখে। এখনও সে ভাবে কথা বলতে শেখেনি আহান। তাই নাতির এহেন মেধা দেখে রীতিমতো অবাক তিনি। একইসঙ্গে গর্বিতও।

নদিয়ার আরাধ্যও জিতে নেয় একই খেতাব
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে আগে এভাবেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তোলে নদিয়া ভারত-বাংলাদেশে সীমান্তের তেহট্ট থানার দেবনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আরাধ্যা সরকার। পরিবার সূত্রে খবর, ছোট থেকে যা শুনতো বা দেখতো, সেটাই আরাধ্যার মনের মধ্যে গেঁথে যেত। আর সেই প্রতিভাই তাকে এনে দেয় এই খেতাব।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *