কী জানা যাচ্ছে?
ট্রেনের মধ্যে মাদক খাইয়ে যাত্রীদের সর্বস্ব লুট করার একটি বড়সড় চক্রকে ধরল আরপিএফ। গতকাল হাওড়া স্টেশনের ৮ নম্বর প্লাটফর্মে আপ মিথিলা এক্সপ্রেস দাঁড়িয়েছিল। ওই ট্রেনের অসংরক্ষিত কামরায় ওঠার জন্য যাত্রীরা যখন প্লাটফর্মে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, সেই সময় ভিড়ের মধ্যে পাঁচজন দুষ্কৃতীও তাঁদের মধ্যে মিশেছিলেন। এই পাঁচ জনের মধ্যে কয়েকজন আগেও বেশ কয়েকটি মামলায় ধরা পড়েছিল। কর্তব্যরত আরপিএফ আধিকারিকরা এদের চিনতে পারেন।
এরপর কী ঘটল?
মুখ চেনা মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় অন্যান্য আরপিএফ আধিকারিকদের। তারা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে ওই পাঁচজন দুষ্কৃতীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে আরপিএফ জওয়ানরা ঘুমের ওষুধ, ঠান্ডা পানীয় এবং জলের বোতল উদ্ধার করেন। দাগী অপরাধী হওয়ার কারণেই তাদের সহজে ধরে ফেলা গিয়েছে বলে দাবি আরপিএফ আধিকারিকদের।
আরপিএফ কী জানাল?
আরপিএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেওয়ালি এবং ছট পুজো উপলক্ষে হাওড়া স্টেশনে যাত্রী চাপ যথেষ্ট বেশি। এই সময় এই দুষ্কৃতীরা ট্রেনে উঠে যাত্রীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে তাদের ঘুমের ওষুধ মেশানো ঠান্ডা পানীয় অথবা জল অফার করেন। কেউ যদি তাদের পাতা ফাঁদে পা দেয় তাহলে ওই যাত্রীদের সর্বস্ব লুট করে চম্পট দেয়। গত কয়েক মাসে হাওড়া ডিভিশনে বেশ কয়েকটি এই ধরনের ঘটনা ঘটায় নড়েচড়ে বসে আরপিএফ।
তদন্তে নামে বিশেষ টিম
জানা গিয়েছে, এই গ্যাংকে ধরতে স্পেশাল অ্যান্টি ড্রাগ স্কোয়াড তৈরি করা হয়। ওই টিম চলন্ত ট্রেনে ও প্লাটফর্মে নজরদারি শুরু করে। এর ফলেই গতকাল ধরা পড়ে দুষ্কৃতীদের দল। আরপিএফ এর পক্ষ থেকে ধৃতদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে আধিকারিকরা। এরপর আরপিএফ-এর পক্ষ থেকে তাদের হাওড়া স্টেশনের জিআরপির হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ তাদের হাওড়া আদালতে তোলা হবে।