কেমন আয়োজন পুজোর?
মধ্যমগ্রামে বড় বাজেটের পুজোর মধ্যে অন্যতম হলো মেঘদূত শক্তি সঙ্ঘের কালীপুজো। এ বছর ৫২ বছরে পড়ল। উদ্যোক্তাদের এ বছরের ভাবনা ‘কী নেই এখানে।’ কোন জেলায় কী বিখ্যাত, সেখানকার সংস্কৃতি থেকে লোকসংখ্যা কত, সে সব সম্পর্কে ধারণা নেই অনেকেরই। এ বার ২৩ জেলার খুঁটিনাটি জানা যাবে এই ক্লাবের কালীপুজোয়। পুজো কমিটির অন্যতম গণেশ ঘোষ বলেন, ‘মণ্ডপের দেওয়াল জুড়ে বিভিন্ন জেলার সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবেন দর্শনার্থীরা। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হয়েছে মাতৃ প্রতিমা।’
পূর্বাশা যুব পরিষদের কালীপুজো এ বার ৩৫ বছরে পড়ল। মণ্ডপে ঢোকার মুখেই ৬১ ফুট উচ্চতার শিবের মূর্তি থাকবে। লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মাধ্যমে আদি যোগীনাথকে দর্শনার্থীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। মধ্যমগ্রাম মাইকেলনগরের নেতাজি সঙ্ঘের কালীপুজো এ বছর ৫৩ বছরে পড়ল। গুজরাটের একটি বিখ্যাত মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। মায়ের বিভিন্ন রূপ দেখা যাবে এই পুজোয়। দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী, কালীঘাটের কালী এবং তারাপীঠের মূর্তিও দেখতে পাবেন দর্শনার্থীরা।
মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় মধ্যমগ্রান ইয়ং রিক্রিয়েশন ক্লাবের থিম বাংলার টেরাকোটার শিল্প। পশ্চিম মেদিনীপুরের মহিষাদলের রাজবাড়ির আদলে তৈরি হবে মণ্ডপ। থাকছে বাঁকুড়ার টেরাকোটা শিল্পের কাজ। মধ্যমগ্রামের দোহারিয়া শৈলেশনগর যুবক সঙ্ঘের কালীপুজো এ বছর ৫৯ বছরে পড়ল। উদ্যোক্তাদের ভাবনা, সত্যজিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশে। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হয়েছে প্রতিমা।
চন্দনগরের আলোকসজ্জা
চন্দনগরের আলোকসজ্জাও দর্শনার্থীরা উপভোগ করতে পারবেন এখানে। মধ্যমগ্রামের মৈত্রী সঙ্ঘের কালীপুজো এ বছর ২৪ বছরে পড়ল। মণ্ডপসজ্জার মূল আকর্ষণ দার্জিলিংয়ের ডাউহিলের আতঙ্ক। বসুনগর যুবক বৃন্দ ৫৭-তে পড়ল। এ বছর উদ্যোক্তাদের ভাবনা মাহিষ্মতী প্যালেস। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে থাকছে মাতৃ প্রতিমা। মধ্যমগ্রামের পশ্চিম চণ্ডীগড়ের বালক ও কিশোর সঙ্ঘের কালীপুজো ৬০ বছরে পড়ল। উদ্যোক্তাদের এ বছরের থিম ‘প্রেতমহল।’ পুরোনো একটা মহলের আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। তা জুড়ে থাকছে ভৌতিক পরিবেশ। লাইভ শো-এর মাধ্যমে এই প্রেতমহলকে দর্শনার্থীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করছেন উদ্যোক্তারা।