পুজোর আগে দিল্লি গিয়ে বকেয়া প্রাপ্য আদায়ের দাবিতে রাজধানীতে গিয়ে ইতিমধ্যেই আন্দোলন করেছে শাসক দল। পালটা তাদের বক্তব্যও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য-কেন্দ্রের এই চাপানউতরের মধ্যেই কেন্দ্রের কাছ থেকে শহরের উন্নয়নের জন্য কলকাতা পুরসভার ৫০০ কোটি টাকা আদায় করা ইঙ্গিতপূর্ণ বলে পুরসভার অনেক আধিকারিক মনে করছেন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় মিলবে এই টাকা। আগামী পাঁচ বছর ধরে পাওয়া যাবে ১০০ কোটি টাকা করে। পুজোর আগে দিল্লিতে দেশের বিভিন্ন পুরসভাকে নিয়ে অর্থ কমিশনের একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে যোগ দিতে কলকাতা থেকে দিল্লি গিয়েছিলেন পুর কমিশনার বিনোদ কুমার, নিকাশি বিভাগের ডিজি শান্তনু ঘোষ সহ একাধিক পুর আধিকারিক।
বৈঠকে ছিলেন দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই সহ দেশের বিভিন্ন পুরসভার আধিকারিকরা। সেখানে কলকাতার পুর কর্তারা শহরের বিভিন্ন এলাকায় কী কাজ হয়েছে এবং টাকা পেলে তাঁরা আরও কোন-কোন কাজ করবেন সেই পরিকল্পনার কথা জানান। এরপরেই কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের কর্তারা কলকাতা পুরসভাকে দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি আর্থিক অনুদানের সবুজ সঙ্কেত দেন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নিকাশি সংস্কার ও পরিবেশ উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করার শর্তে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, এই টাকা যেমন ধাপে ধাপে ঢুকবে ঠিক তেমন ভাবেই নিকাশি ও পরিবেশ রক্ষায় পরিকাঠামোর কাজে লাগানো হবে। প্রথম ধাপে মিল্ক কলোনি, পামার বাজার, গুলশন কলোনি সহ কয়েকটি জায়গায় ছোট মাপের নিকাশি পাম্পিং স্টেশন হবে।
এছাড়া সংযোজিত এলাকায় ৩০ কিলোমিটার লম্বা একটি নিকাশি খাল কাটা হবে। পরিবেশ রক্ষায় নতুন পুকুর কাটা এবং নতুন ব্যারেজ হবে। দুর্যোগের পূর্বাভাস পেতে ওয়ার্নিং সিস্টেম প্রযুক্তির ব্যবহারও চালু হবে। এরই পাশাপাশি বৃষ্টির জল ধরার জন্য একাধিক ছোট জলাধার নির্মাণ এবং বেহালা, জোকায় নিকাশি খাল সংস্কার করা হবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।