প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কে নিয়ে কার্যত একই মেরুতে অবস্থান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিশ্বভারতীর ইননেস্কোর ফলকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না থাকায় বুধবারই কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বলেন, ‘এমন কিছু মুল্যবোধ আছে যার সঙ্গে কখনওই কোনও আপোস করা যায় না, যা চিরকালীন সত্য, চিরন্তন আবেগ কোনওদিন পরিবর্তন না। প্রত্যেক ভারতীয় যাঁরা জনগণমন গান, তাঁদের হৃদয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্য আলাদা আবেগ ও সম্মান রয়েছে। সেই সম্মানের প্রতি সকলের যত্নশীল হওয়া উচিত।’
এই ইস্যুতে এর আগে আবার প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। মমতার প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘গুরুদেবের আবাসস্থলে আত্মপ্রচারের ঘৃণ্য ও অহংকারী প্রদর্শন জারি রয়েছে। ইউনেস্কো শান্তিনিকেতনকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে। কিন্তু সেখানকার বর্তমান প্রধান নিজের ছোট নামটা স্মৃতি ফলকে যুক্ত করেছেন। যে ফলকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম নেই তা সরিয়ে ফেলুন। রবীন্দ্রনাথ ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিলেন। মর্যাদা এবং নম্রতা দেখান! এহেন অনাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ সেক্ষেত্র এই বিষয়ের উভয়ের মধ্যে কোনও আলোচনা হবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।
অন্যদিকে আবার রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতারের পর বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। সূত্রের খবর, বিভিন্ন নথিপত্র তুলে ধরে লাগাতার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডি আধিকারিকরা। আর সেই নিয়েও সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সেক্ষেত্রে এই বিষয়েও রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে কোনও আলোচনা হয় কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে ওয়াকিবহালমহলের একাংশ।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত জুলাই মাসের ২৫ তারিখও হঠাৎই রাজভবনে যেতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই দিনও আচমকা কেন রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন, তা নিয়ে শুরু হয় জোর জল্পনা। তবে ঘণ্টাখানেকের পর বৈঠক সেরে বেরিয়ে অবশ্য নিজেই রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের কারণ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় তিনি জানান, বিধানসভা সংক্রান্ত বিষয়ে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্যই রাজভবনে গিয়েছিলেন তিনি। এবার দেখার আজ কী নিয়ে আলোচনা হয় উভয়ের মধ্যে।