কী জানাল টাস্ক ফোর্স?
টাস্ক ফোর্সের এক আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করছে। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের যে কো অপারেটিভ সংস্থা এবং সিসিসিএ এই দুই সংস্থা পেঁয়াজ বিক্রি করছে ৩০ টাকা দরে আর কলকাতায় বিক্রি করছে ৫০ টাকা দরে। এটা হওয়া উচিত নয়।’ বিষয়টি নিয়ে তাঁরা রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং খাদ্য সচিবের কাছে অভিযোগ উত্থাপন করবেন বলেও জানান তিনি।
পরিদর্শন টাস্ক ফোর্সের
পেঁয়াজের ঝাঁঝের বদলে তার দামের জেরে মধ্যবিত্তের চোখ জল দেখা দিচ্ছে। এমতাবস্থায় পথে নামল পশ্চিমবঙ্গ টাস্ক ফোর্স। স্থানীয় থানাকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে বাজারে অভিযান চালালো রাজ্যের টাস্কফোর্স। টাস্ক ফোর্স বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর শহরতলির বিভিন্ন বাজারে হানা দেওয়া হয়। সেখানে হানা দিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরে পেঁয়াজ সহ আলু, আদা, রসুন দোকানদাররা কত দাম কিনছে কত দামে বিক্রি করছে তার খোঁজ নেন। পাশাপাশি সবজি কত দামে বিক্রি হচ্ছে তাও জানতে চান তারা। এদিন সকালেই টাস্কফোর্সের সদস্যরা পৌঁছন দমদম নাগেরবাজারে। সেখানকার বাজারে হানা দিয়ে মূলত পেঁয়াজের দাম জানার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি, অন্যান্য সবজির দামের খোঁজ নেন তাঁরা। এরপরেই তাঁরা হানা দেন বাগুইআটি বাজারে। সেখানেও পেঁয়াজ থেকে শুরু করে সমস্ত সবজির দামের খোঁজ নেন তারা।
দাম বাড়ায় আর কী কারণ?
এদিন টাস্কফোর্সের সদস্যরা জানান, মহারাষ্ট্র রাজস্থানের পেঁয়াজের উপরে ভরসা করতে হয়। সেই পেঁয়াজের উপর কেন্দ্রীয় সরকার অতিরিক্ত রপ্তানি কর বসানোয় ওই অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট করছে। তার ফলে একটা সংকট তৈরি হয়েছে। যা আগামী দশ পনেরো দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে পেঁয়াজের কালোবাজারি রুখতে শহরের পাশাপাশি জেলাতেও অভিযান চলবে বলে জানান টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ আগে পেঁয়াজের দাম রাজ্যে উত্তর থেকে দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলিতে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে থাকলেও এখন সেটা ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে পৌঁছেছে।