ATM Card : ভাড়ায় নেওয়া এটিএম কার্ড ব্যবহার করে প্রতারণা, ধৃত ১ – jhargram cyber ​​crime police arrested one person for fraud using rented atm card


এই সময়, ঝাড়গ্রাম: এটিএম কার্ড ‘ভাড়ায়’ পাওয়া যাচ্ছে! হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। ঝাড়গ্রাম সাইবার ক্রাইম থানার একটি মামলার তদন্তে নেমে এমনই তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ। আর এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘লো প্রোফাইল’-এর মানুষজনকে। যাঁরা সচরাচর এটিএম কার্ড ব্যবহার করেন না। এই ঘটনায় ঝাড়গ্রাম সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ হুগলির পাণ্ডুয়ার ইমরান খান নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর কাছ থেকে দু’টি এটিএম কার্ডও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

একটি অনলাইন অ্যাপে মোবাইল ফোন কিনে তার অর্ডার বাতিল করতে গিয়ে প্রতারকদের খপ্পড়ে পড়েছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়ার বাসিন্দা চিরন্তন সাঁতরা। পেশায় তিনি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। গত ২৯ অগস্ট ঝাড়গ্রাম সাইবার ক্রাইম থানায় তিনি অভিযোগ জানান।

চিরন্তন সাঁতরা অভিযোগে জানিয়ে ছিলেন, ‘অগস্ট মাসের প্রথম দিকে অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে দু’টি মোবাইলের অর্ডার দিতই। তারপর একটি মোবাইলের অর্ডার ক্যান্সেল করতে চাই। অনলাইনে মোবাইল ফোন ক্যান্সেল করতে গিয়ে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লাখ ১ হাজার উধাও হয়ে যায়।’ অভিযোগের ভিত্তিতে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারেন, ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্ট থেকে এক লাখ এক হাজার টাকা জমা পড়েছে হুগলির পাণ্ডুয়ার এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে।

ওই তথ্য হাতে পাওয়ার পর ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। তারপরেই চোখ কপালে ওঠে পুলিশের। যাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে তাঁর নাম নাসিম কুরেসি। তাঁর বাড়ি পাণ্ডুয়ায় হলেও তিনি মহারাষ্ট্রে একটি কারখানায় কাজ করেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ‘আমি ইমরান খানের কাছ থেকে সাত হাজার টাকা পেতাম। ও আমাকে বলেছিল আমার অ্যাকাউন্টের নম্বর ও এটিএম কার্ড দিলে সেখানে ওর এক বন্ধুর টাকা ঢুকবে তারপর সেখান থেকে ওই টাকা তুলে আমাকে দেবে। আমি তা ভেবেই ওকে এটিএম কার্ড দিয়েছিলাম।’

ঝাড়গ্রাম জেলার ডিএসপি(সাইবার ক্রাইম) সব্যসাচী ঘোষ বলেন, ‘একেবারে লো প্রোফাইলে থাকা মানুষদের লোন দেওয়ার নাম করে বা মাসিক কিছু টাকা দেওয়ার নাম করে তাঁদের কাছ থেকে ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এটিএম কার্ড নিজেদের কাছে রেখে দেওয়া হচ্ছে। আবার মাসিক কিছু টাকা ভাড়ার বিনিময়েও এটিএম কার্ড সংগ্রহ করে তা নিয়ে প্রতারকরা এসব কাজ করছে। এরফলে যার অ্যাকাউন্টে প্রতারণার কাজটি হচ্ছে তাঁকে ধরতে গিয়ে আমরাও অনেক সময় সমস্যায় পড়ছি। মূলচক্রীর খোঁজ চলছে। সকলকে আরও সচেতন হতে হবে।’

Online Shopping Fraud : অনলাইনে অর্ডার ক্যান্সেলের চেষ্টা করতে গিয়ে প্রতারিত
পুলিশ ইতিমধ্যে আদালতে জানিয়েছে, ইমরান খানকে গ্রেফতার করার পর তার কাছ থেকে দু’টি এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইমরান খান পেশায় অটোচালক। ইমরান খান এই এটিএম গুলি সংগ্রহ করে অন্য একজনকে সাপ্লাই করত। তিনি এটিএম কার্ডের বিনিময়ে কিছু টাকা ‘ভাড়া’ হিসেবে দিতেন। পুলিশ তদন্তে আরো জানতে পেরেছে, এটিএম কার্ড গুলি মূলত দিনমজুর, কারখানার শ্রমিক, অটোচালকদের।

যাঁরা এটিএম কার্ড গুলি নিয়মিত ব্যবহার করেন না। ওই এটিএম কার্ড গুলি ইমরান খান সংগ্রহ করে প্রতারক চক্রের কাছে পৌঁছে দিত। যার বিনিময়ে ইমরান এবং এটিএম কার্ডের মালিকদের কিছু টাকা ‘ভাড়া’ বাবদ দিত সাইবার প্রতারকরা। পুলিশ এই চক্রের মূল মাথাকে ধরার জন্য তল্লাশি শুরু করেছে।

প্রতারকরা অন্যের অ্যাকাউন্ট এবং এটিএম কার্ড ভাড়া নিয়ে প্রতারণার জাল বিছিয়েছে। যার ফলে পুলিশও সাইবার প্রতারকদের ধরতে হিমশিম খাচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *