কী জানা যাচ্ছে?
পুলিশ সূত্রে খবর, গত গত ২২ শে মে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ এর বন্ধন ব্যাঙ্ক-এর হেড অফিসের পক্ষ থেকে ফ্রড কন্টাইনমেন্ট এন্ড মনিটরিং ডিপার্টমেন্টের আধিকারিক বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁদের ব্যাঙ্কে ঈপ্সিতা ভট্টাচার্য নামের একজন কাস্টমার কেয়ারের নাম্বারে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেখানেই উঠে আসে প্রতারণার বিষয়টি।
কী অভিযোগ ছিল?
ঈপ্সিতা ভট্টাচার্য দাবি করেন, তিনি একটি ওয়েবসাইটে চাকরির সন্ধান করতে গিয়ে তার সিভি জমা করেন। তার কিছুদিন পরেই সেই ওয়েবসাইটের তরফ থেকে তাঁকে মেইল মারফত জানানো হয় বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরির বিষয়। সেই চাকরির জন্য তাঁকে যোগাযোগ করতে বলা হয় একটি নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে। তিনি সেই মোতাবেক সেই মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলে তাঁকে বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। তাঁকে বিভিন্ন খাতে টাকা চাওয়া হয়। তাঁদের কথায়, বিশ্বাস করে বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরির আশ্বাস পেয়ে ওই পুলিশ কর্তার মেয়ে এক লাখ বাইশ হাজার টাকা দেয় প্রতারকদের হাতে।
ভুয়ো চাকরির ফাঁদ
অর্থের পরিবর্তে প্রতারক দল ওই মহিলাকে ভুয়ো অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার এবং ভুয়ো অফার লেটার পর্যন্ত দেয়। বন্ধন ব্যাঙ্কে তরফ থেকে পুলিশের অভিযোগ জানানো হয় শুধু অফার লেটার বা এপয়েন্টমেন্ট লেটার ভুয়ো নয়, তারা যে মেইল আইডি ব্যবহার করে মেইল করছে সেটিও ভুয়ো।
তদন্তে নামে পুলিশ
এই ঘটনা তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের সন্ধানে রানাঘাট পুলিশের অন্তর্গত শান্তিপুর এলাকায় হানা দেয়। সেখান থেকে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুব্রত বারুই, অলক দাস এবং বিশ্বজিৎ হাওয়ালদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের দুজনের মধ্যে অলক এবং সুব্রত দুজনেই একটি নামই মোবাইল কানেকশন সংস্থার ডিস্ট্রিবিউটার বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাদের কাছ থেকে ডকুমেন্ট ছাড়া মোট ১১৭ টি সিম কার্ড এবং দুটি বায়োমেট্রিক ডিভাইস উদ্ধার করে পুলিশ।
আর কী জানাল পুলিশ?
পুলিশ সূত্রে খবর, এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানা সহ একাধিক থানাতে অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবার অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত সেই বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।