এদিকে শুনানির তারিখ পিছিয়ে গেলেও আশার আলো দেখছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, “এতদিন পর্যন্ত মামলাটি মিসলেনিসাস ম্যাটার ছিল। কিন্তু, এবার তা হিয়ারিং স্টেজে চলে গিয়েছে। অর্থাৎ তা আমাদের জন্য অনেকটাই আশার কথা।” পরিষদের আইনজীবী পিএস পাটওয়ালিয়া সওয়ালে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে জয়ী হয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কিন্তু, মামলার জল গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। গত বছর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA মিটিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। তবে তা খারিজ হয়ে যায়।
এরপর সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (SLP) দায়ের করে রাজ্য। গত বছর ২৮ নভেম্বর প্রথম মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে তারিখ পায়। এরপর গত ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে নয়বার মামলাটি পিছিয়ে যায়। যদিও আশা ছাড়তে রাজি নন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন তাঁরা, এমনটাই জানিয়েছেন মামলাকারী তিনটি সরকারি কর্মচারিদের সংগঠন।
সরকারি কর্মচারি পরিষদের তরফে দেবাশিস শীল বলেন, “রাজ্যের দায়ের করা SLP খারিজ হয়ে যাবে তা নিয়ে আমাদের মধ্যে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই।” মামলা শুক্রবার কোর্টে ওঠার আগে এই নিয়ে আশা প্রকাশ করেছিলেন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের তরফে শ্যামল মিত্র। তিনি জানিয়েছিলেন, জয় নিয়ে তাঁরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। এই নিয়ে আলাদা করে ভাবনা চিন্তা করছেন না।
প্রসঙ্গত, উৎসবের মরশুমে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর দিয়েছে কেন্দ্র। এরপরেই রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের DA-র তফাত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ শতাংশ। এরপরেই আন্দোলনে আরও জোর বাড়িয়েছে সরকারি কর্মীরা। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবর্ষে রাজ্য সরকারি কর্মীদের তিন শতাংশ DA বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।